কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শনিবার বিশাল সমাবেশে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় হাজার হাজার মানুষ সমর্থন জানিয়ে হাত তুলে স্লোগান দেন। এএফপি
এক দফা দাবির ডাক দিয়েছে ছাত্র আন্দোলন। এই এক দফা বাস্তবায়নে আজ রবিবার (৪ আগস্ট) থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পাদদেশে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, এই সরকার ও তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে। এ সময় আরও কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হলো-
ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করা হবে। যেখানে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। এমন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করা হবে যাতে বাংলাদেশে আর কখনই স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে।
সকল ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেয়ার সময়সীমা ২৪ ঘণ্টা। রবিবারের মধ্যে হল খোলা না হলে শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্ব হল খুলে প্রবেশ করবে।
সর্বস্তরের নাগরিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে শিগগির ক্ষমতা হস্তান্তরের জাতীয় রুপরেখা হাজির করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে জাতীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হবে।
এর আগে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শুধু শিক্ষার্থী নয়, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে। একসময় ওই এলাকা রূপ নেয় জনস্রোতে। ছাত্র-জনতার নানা স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে চারপাশ।
গতকাল সকালে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি, উত্তরা, রামপুরা, মিরপুর, শান্তিনগর, আফতাবনগর, প্রগতি সরণি, বাড্ডা, শনির আখড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীরা জড়ো হন। কোথাও কোথাও আন্দোলনকারীর সঙ্গে অভিভাবকরাও ছিলেন। ঢাকার অনেক এলাকায় পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেলে কোথাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়নি।