Logo
Logo
×

জাতীয়

স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা : হাসনাত

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১০:০৯ পিএম

স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা : হাসনাত

দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও এর ক্লিয়ারেন্স নিতে সর্বনিম্ন রেট ১ লাখ টাকা দিতে হয় বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা আলম মিতুর কাছে থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ফেসবুকের এক পোস্টে এই অভিযোগ করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। 

ক্লিয়ারেন্সের বিনিময়ে দুদক কর্মকর্তা মিতুর কাছে সর্বনিম্ন রেট এক লাখ টাকা চেয়েছেন অভিযোগ করে হাসনাত লেখেন, সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছে থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার আর তার ডিডি পরিচয়ে।

মাহমুদা মিতুকে বলা হয়, আপনি একজন ডাক্তার। আপনার তো টাকা-পয়সার অভাব থাকার কথা নয়। আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান। দুদকের সর্বনিম্ন রেট নাকি ১ লাখ টাকা।

টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আকতার আবার ফোন দিয়ে জানতে চায়, টাকা দেবেন কি না? টাকা না দিলে নাকি খবর করে ছেড়ে দেওয়া হবে। 

আওয়ামী আমলের কর্মকর্তাদের নাম বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, রেড ক্রিসেন্টে মাহমুদা মিতু যোগ দিয়েছেন ৫ আগস্টের পরে। দুদক এখন তদন্ত করছে আওয়ামী লীগের সময়ের দুর্নীতি নিয়ে। অথচ হাস্যকরভাবে আওয়ামী আমলের কর্মকর্তাদের নাম না দিয়ে তখনকার দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এখনকার লোকজনের ওপর।

এখানে বড় অংকের টাকার লেনদেনের সমূহ সম্ভাবনা আছে। কিছু না করাদের কাছে থেকেই যদি এক লাখ করে নেয়, আওয়ামী লীগ আমলের কর্মকর্তাদের থেকে তাহলে কত করে নিয়েছে?

হাসনাত আরও লেখেন, দুদকের এসব কাজকারবার এই প্রথম নয়। হাসিনার আমলে খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের বহু নেতাকে এরা হয়রানি করেছে। অথচ আওয়ামী লীগের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে এরা কিছুই বলেনি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ আগস্টের পর এদের মধ্যে পরিবর্তন আসবে।

কিন্তু আসেনি। বরং এরা এখন চা খাওয়ার জন্য ১ লাখ করে টাকা চাওয়া শুরু করেছে। মাহমুদা মিতু সাহস করে ভিডিও করে রেখেছেন। অন্যায় ঘুষ দেননি। কিন্তু কত সাধারণ মানুষ এদের এই চায়ের বিল দিতে বাধ্য হয়েছে জানা নেই। 

কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেলে তা প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। মাহমুদা মিতু কেন, যদি আমার নামেও এক পয়সা দুর্নীতির অভিযোগ আসে, সেটা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিন। কাউকে ফোন করারও দরকার নেই। দুর্নীতি পেলেই সেগুলো প্রকাশ করে মামলা করে দেন। আইনের হাতে তুলে দিন। তা না করে নিরীহ লোকজনের ওপর এই চাঁদাবাজি কেন করছেন? কেন চা খাওয়ার বিল চান, কেন টাকা না দিলে হুমকি দেন? ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ চাই।’

দুদকের দুর্নীতির বিচারের দাবি জানিয়ে হাসনাত লেখেন, হাসিনার করে যাওয়া দুর্নীতির পথে যেন আর কেউ না যেতে পারে সে জন্য দুদককেও আমরা নতুন রূপে দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নতুন বাংলাদেশেও দুদক সেই পুরনো পথেই হাঁটা শুরু করেছে। আমলাতন্ত্র আবারও বিষদাঁত নিয়ে কামড় বসাতে হাজির হয়েছে। এই বিষদাঁত ভাঙতে না পারলে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন হেরে যাবে, আমরাও হেরে যাব। আমরা দুদকের এই দুর্নীতির বিচার চাই। আমলাদের এক লাখ টাকার চা খাওয়ানোর জন্যই কি জুলাইতে বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছিল?

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন