
প্রিন্ট: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা।
শপথ অনুষ্ঠানে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সোমবার (২৪ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাদেরকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে এই নিয়োগ প্রদান করেন, যা শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হয়।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান
১৯৬৯ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করা বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা আদালতে এবং ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে ২০০১ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক এবং ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করা বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ১৯৯২ সালে জেলা আদালতে, ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০০৬ সালে স্থায়ী বিচারপতি হন। তিনি সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের কন্যা।
তার দেওয়া উল্লেখযোগ্য রায়গুলোর মধ্যে রয়েছে আজিমপুর কবরস্থান রক্ষার রায়, ধর্ষণের শিকার নারীদের দ্রুত মামলা গ্রহণে নীতিমালা প্রণয়নের রায়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রথাগত অধিকার রক্ষার রায়, শিশু জিহাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেল শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণের রায় এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হলফনামা বাধ্যতামূলক করার রায়।