শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ১৭ নভেম্বর।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তারিখ নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশ এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। ভোর থেকেই আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের মূল ফটক ও আশেপাশের এলাকায় অর্ধশতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
এই মামলায় গত ২৩ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সেদিনই রায় ঘোষণার জন্য ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছিল। মামলার এক আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বর্তমানে কারাগারে, আর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক।
মামলায় ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি ছিলেন প্রতক্ষ্যদর্শী ও তদন্ত কর্মকর্তারা। এছাড়া অডিও, ভিডিও প্রমাণ, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও জব্দ করা গুলি আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) দাবি করেছেন। তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
চলতি বছরের ১ জুন এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। হাজির না হওয়ায় তাঁদের পক্ষে আমির হোসেনকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয় ট্রাইব্যুনাল।



