সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১২১ বার পেছাল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ১২১ বার তারিখ পেছানো হয়েছে। সর্বশেষ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান নতুন করে ৩০ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের অতিরিক্ত এসপি মো. আজিজুল হক আদালতে হাজির হলেও প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হন। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে তদন্ত অগ্রগতি নিয়ে শুনানিতে বিচারক জানতে চান, “আপনি কি সিআইডিতে?” জবাবে আজিজুল হক বলেন, “না স্যার, আমি পিবিআইতে।”
তিনি জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত চলছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও ডিএনএ বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন, তবে দুই ব্যক্তির মিশ্র ডিএনএ শনাক্ত করা যাচ্ছে না, যার ফলে প্রতিবেদন দাখিলে বিলম্ব হচ্ছে।
বিচারক বলেন, “আগের তদন্ত কর্মকর্তাও একই কথা বলেছেন। আপনার অগ্রগতিতে আদালত অসন্তুষ্ট। আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।”
এর আগে, গত ১১ আগস্ট আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন। পরদিন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব প্রথমে থানার এসআই, পরে ডিবি, র্যাব এবং সর্বশেষ পিবিআই-এর নেতৃত্বে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের টাস্কফোর্সকে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনো প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি, যা বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ও জনমনে হতাশা সৃষ্টি করছে।



