আমতলীতে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
আমতলী উপজেলার সোনাখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল গাফফার আকন ও তার পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে হয়রানী করতে সামসুল হক মৃধা ও সাফিয়া বেগম নামের দুই ব্যাক্তি মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার বিকেলে আব্দুল গাফফার আকন আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে লিখিত এমন অভিযোগ করেছেন। এমন ঘটনার এলাকার উত্তেজনা বিরাজ করছে। দ্রুত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহরের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, জমি নিয়ে সামসুল হক মৃধার সঙ্গে আব্দুল গাফফার আকনের কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এখন শুনতে পাচ্ছি সামসুল হক আকন ও সাফিয়া বেগম তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তারা আরো বলেন, আব্দুল গাফফার আকন ও তার ভাই শাহীন ঢাকায় থেকে ব্যবসা করেন।
মামলার প্রধান আসামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল গাফফার আকন বলেন, গত ২০ বছর ধরে আমি ও আমার ভাই শাহীন আকন ঢাকায় ব্যবসা করে আসছি। বছরে দুই একবার গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে যাই। কিন্তু আমাদের হয়রানী করতেই ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো বলেন, সামসুল হক মৃধা ও সাফিয়া বেগম ভুমি অপরাধ ও প্রতিরোধ আইনে যে জমি নিয়ে মামলা করেছেন ২০১৯ সালেও একই জমি নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলা করেছেন।
কিন্তু ওই মামলা দুটি তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় আদালতের বিচারক মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। এখন স্থানীয় কিছু দুস্কৃতিকারীদের প্ররোচনায় তারা আমাদের হয়রানী করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছন। দ্রুত এমন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
মামলার বাদী সামসুল হক মৃধা বলেন, আমার বাবা আসমত আলী মৃধা তার ১.১৫ একর জমি থেকে ১.০৩ একর জমি আব্দুল মান্নান আকনের কাছে বিক্রি করেছেন তা সঠিক কিন্তু অবশিষ্ট জমি আমি বুঝে পাইনি। তাই জমি বুঝে পেতে আদালতে আবারো মামলা করেছি। তবে মামলায় যে ঘটনা বর্ননা করেছেন এমন ঘটনা ওইদিন ঘটেনি। কেন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দায়ের করেছেন এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি তিনি।
গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, দুইটি মামলার আদালতের নথিপত্র পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।



