Logo
Logo
×

আইন-আদালত

বিএনপি নেতা মোস্তফার এনআইডি কেন বাতিল হয়নি জানতে চায় হাইকোর্ট

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম

বিএনপি নেতা মোস্তফার এনআইডি কেন বাতিল হয়নি জানতে চায় হাইকোর্ট

ফাইল ফটো

তথ্য গোপন করে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা কীভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোহাম্মদ হাবিবুল গনি এবং বিচারপতি এসকে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৯ আগস্ট এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে আগামী ২৮ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে কেন মোস্তাফিজার রহমানের এনআইডি বাতিল করা হবে না।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভারতের কুচবিহার জেলার বাসিন্দা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (৬৭) ১৯৭৬ সালে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কুড়িগ্রামে প্রবেশ করেন। সে সময় তাকে আটক করে ছয় মাস জেল খাটানো হয়। পরবর্তীতে রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় কুড়িগ্রামে বসবাস শুরু করেন এবং দীর্ঘদিন স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে বর্তমানে জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

তার বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. সহিদুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, এনআইডি কার্ডে জন্মস্থান কুড়িগ্রাম উল্লেখ করা হলেও বাস্তবে তিনি ভারতের নাগরিক। অভিযোগে আরও জানানো হয়, আশির দশকে তথ্য ডিজিটালাইজড না থাকায় তিনি তথ্য গোপন করে এনআইডি গ্রহণ করেছিলেন।

কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির কয়েকজন সাবেক শীর্ষ নেতা জানান, মোস্তাফিজার রহমানের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে কীভাবে তিনি বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে পরিচয়পত্র পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা।

অন্যদিকে অভিযুক্ত মোস্তাফিজার রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন কমিশন চাইলে আমি সব প্রমাণ দিতে প্রস্তুত।

কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, তথ্য গোপন করে এনআইডি গ্রহণ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে জনস্বার্থে কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. মাহবুব হোসেন হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে আদালত এ রুল জারি করে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন