ছাগলকাণ্ডে আলোচিত এনবিআরের মতিউর রহমানের জামিন নামঞ্জুর
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এদিন মতিউর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী মো. ওয়াহিদুজ্জামান জামিন আবেদন করেন। শুনানির একপর্যায়ে মতিউর রহমান নিজে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি চান এবং আদালতের অনুমতি পেয়ে বলেন, “আমি কারাগার থেকে দুদককে একটি চিঠি দিয়েছি। আমি আপনাকে সেটি দিলাম। আপনি দয়া করে পড়ে যে আদেশ দেবেন, আমি তা মেনে নেব।”
তিনি আরও বলেন, “আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনই কারাগারে। আমার মা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত, তাকে দেখার কেউ নেই।” এ কথা বলতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর বলেন, “আমাকে জামিন দিলে আমি আদালতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র উপস্থাপন করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারব।” তবে আদালত জানান, মামলাটি তদন্তাধীন, তাই দোষী বা নির্দোষ বলা সম্ভব নয়। পরে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
গত বছরের ২ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ পাঠায়। ওই বছরের ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী ও সন্তানসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি দুদক মামলা করে এবং ১৪ জানুয়ারি মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কেনার ঘটনায় আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। জানা যায়, তিনি মতিউর রহমানের ছেলে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট, তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া তাদের ব্যাংক হিসাব, মোবাইল আর্থিক সেবা ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাবও ক্রোক করা হয়। পরে গত ২৪ জুন আদালত মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।



