আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় দ্বিতীয় সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার, ৪ আগস্ট সকালে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ ৬ আগস্ট নির্ধারণ করেন।

সকাল ৯টায় দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয় রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে, যিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সরাসরি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন। এর আগে, রোববার মামলার সূচনা বক্তব্যে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করে।

মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান কামাল এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে মামুন বর্তমানে রাষ্ট্রপক্ষের রাজসাক্ষী হিসেবে বিবেচিত। ১০ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ অনুসারে, জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া আন্দোলনে ১৪০০ জন ছাত্র ও সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনার সঙ্গে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র এবং অপরাধ প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। তার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ছাত্রদের প্রতি ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে মন্তব্য করা, হেলিকপ্টার থেকে গুলির নির্দেশ দেওয়া, রংপুরে ছাত্র আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড, ঢাকার চানখাঁরপুলে আনাসসহ ছয় শিক্ষার্থী হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনের মরদেহ পোড়ানোর অভিযোগ।