প্রায় সব মা-বাবাই শিশুকে দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে বলেন। কিন্তু শুধুমাত্র এটি যথেষ্ট নয়। শিশুকে কী ধরনের খাবার দেওয়া হচ্ছে তার ওপরও দাঁতের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। খাবারের মধ্যে থাকা চিনি ও স্টার্চ মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিশে অ্যাসিড তৈরি করে, যা দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে।
লালার মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফেট এবং টুথপেস্টের ফ্লোরাইড দাঁতকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। তাই শিশুর দাঁত ভালো রাখতে কিছু খাবার কম খাওয়াতে হবে বা একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে।
চিনিযুক্ত খাবার, জুস এবং ক্যান্ডি: এই ধরনের খাবার অতিরিক্ত খেলে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কঠিন ক্যান্ডিতে থাকা উচ্চ মাত্রার চিনি দাঁত ভেঙে যাওয়ারও কারণ হতে পারে। তাই শিশুকে এসব থেকে দূরে রাখা উচিত।
সাইট্রাস ফল: উচ্চ মাত্রার অম্লীয় উপাদানযুক্ত সাইট্রাস ফল দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে। যদিও লেবুর শরবত শিশুর পছন্দ হতে পারে, তবে এটি তাদের দাঁতের জন্য ভালো নয়। সাইট্রাস ফল মুখে ঘা ও জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে, তাই পরিমিত দিতে হবে।
কফি ও চা: শিশুর জন্য কফি ও চা উপযুক্ত নয়। এগুলো অতিরিক্ত খেলে মুখ শুষ্ক হতে পারে এবং দাঁতে দাগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই এ ধরনের পানীয় থেকে শিশুকে দূরে রাখা উচিত।
শুকনো ফল: শুকনো ফল স্বাস্থ্যকর মনে হলেও বেশিরভাগ শুকনো ফল আঠালো প্রকৃতির, যা দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। যদি শুকনো ফল শিশুর খাদ্যের অংশ হয়, তবে তাকে সঠিকভাবে ব্রাশ করা, মুখ ধুয়ে ফেলা এবং ফ্লস করা শেখাতে হবে।
হোয়াইট ব্রেড: হোয়াইট ব্রেড চিবানোর সময় মুখের লালা স্টার্চগুলোকে চিনিতে ভেঙে দেয়, যা আঠালো-পেস্টে পরিণত হয়ে দাঁতের সাথে লেগে থাকে এবং গহ্বর সৃষ্টি করতে পারে। তাই হোল গ্রেইন আটার রুটি বেছে নেওয়া উচিত, কারণ এতে চিনির পরিমাণ কম এবং সহজে ভেঙে যায় না।