কুমড়ার বীজের উপকারিতা
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের বাদামের পাশাপাশি ডায়েটে ভিন্ন ধরনের বীজ রাখেন। এর মধ্যে চিয়া সিডস সবচেয়ে জনপ্রিয়। এই তালিকায় আরও আছে ফ্ল্যাক্স সিডস বা তিসির বীজ, সিসমি সিডস বা তিসির বীজ এবং পাম্পকিন সিডস (Pumpkin Seeds) বা কুমড়োর বীজ। কুমড়া খেলেও এর বীজ বেশিরভাগ মানুষই ফেলে দেন। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য এটি ভীষণ উপকারি।
বাড়িতে কুমড়ো আনার পর এর বীজগুলো আলাদা করে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর শুকনো তাওয়ায় ভাজুন। এয়ার টাইট বক্সে এই বীজ সংরক্ষণ করুন। অতিরিক্ত তাপ কিংবা অতিরিক্ত আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে কুমড়ার বীজ নষ্ট হয়ে যাবে।
এটি এমনিও চিবিয়ে খাওয়া যায়। স্বাদের জন্য সামান্য লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে অল্প পরিমাণে খেতে হবে এই বীজ। কুমড়ার বীজ খেলে কী কী উপকার মিলবে চলুন জেনে নিই-
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
কুমড়ার বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজের মতো উপকারি সব উপাদান। এসব উপাদান হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারি। এই বীজ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
হাড় মজবুত করে
হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করে কুমড়ার বীজ। অর্থাৎ এই বীজ খেলে হাড় মজবুত হবে, ক্ষয় হবে না। হাড়ের গঠন ভঙ্গুর হয়ে যাবে না।
প্রস্টেস্ট ভালো রাখে
পুরুষের জন্য উপকারি কুমড়ার বীজ। এটি ভালো রাখে প্রস্টেটের স্বাস্থ্য। দূর করে বয়সজনিত প্রস্টেটের সমস্যা।
অ্যাসিডিটি দূর করে
অ্যান্টি অক্সিডেন্টস এবং ভিটামিন ই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কুমড়োর বীজে। এটি অ্যাসিডিটি দূর করে। প্রদাহজনিত সমস্যাও দূর করে এই বীজ। কোষের ক্ষয় রোধ করে এটি।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারি
এই বীজে রয়েছে ভরপুর ফ্ল্যাভোনয়েডস। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ কুমড়ার বীজ ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি।
অনিদ্রা দূর করে
অনেকেরই রাতে ঘুমের সমস্যা হয়। সহজে ঘুম আসে না। যাদের এ সমস্যা রয়েছে তারা কুমড়োর বীজ খেয়ে দেখতে পারেন। এতে রয়েছে ট্রিপটোফেন যা শরীরের ভেতরে থাকা এনার্জিকে সেরাটনিন ও মেলাটোনিনে পরিণত করে। ফলে ভালো ঘুম হতে বাধ্য।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকা কুমড়োর বীজ অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। এই বীজ বদহজমের সমস্যা কমায়। সেই সঙ্গে কমায় টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সমস্যাও।