কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পুষ্টিকর স্মুদি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পুষ্টিকর স্মুদি
কোষ্ঠকাঠিন্য খুব পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। এই অসুখে মলত্যাগের সময় অনেকক্ষণ কসরত করতে হয়। এ ছাড়া পায়খানার পর মনে হয় পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয়নি। যারা এই সমস্যার শিকার, তাদের এমনিতেই খাবার খেতে হয় মেপে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, এমন বেশ কিছু খাবারও রয়েছে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে যেগুলো এড়িয়ে যাওয়াই সমীচীন।
দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পাইলস বা অর্শ রোগ কিংবা এনাল ফিসার বা গেজ রোগের মতো পায়ুপথের রোগ হতে পারে। পায়খানা কষা কেন হয় তা জেনে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে কোনো প্রকার ঔষধ ছাড়াই সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়েই এই সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
আজকাল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় শুধু বড়রাই নয় ভুগছেন ছোটরাও। যার অন্যতম কারণ তাদের খাওয়ার অভ্যাস। তাই রোজের ডায়েটে কিছু বদল আনলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই দিতে পারে এমন কিছু স্মুদির রেসিপি জানবো আজ।
১. পালং শাক-কলার স্মুদি
একটি পাকা কলা, এক কাপ পালং শাক, এক কাপ আমন্ডের দুধ, এক চামচ চিয়া বীজ ও এক চামচ মধু মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এই মিশ্রণের উপর এক চিমটি বিট লবন ছড়িয়ে দিয়ে খেয়ে নিন।
২. আনারস-কলার স্মুদি
আনারসের টুকরো এক কাপের মতো, তার সঙ্গে লাগবে একটি পাকা কলা, এক কাপ আমন্ডের দুধ ও এক চা চামচ মধু। সমস্ত উপকরণ ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এই স্মুদি খেতেও উপাদেয়, পেটও ভাল রাখবে।
৩. পাকা পেঁপে-দইয়ের স্মুদি
একটি গোটা পাকা পেঁপে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এবার মিক্সারে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তার সঙ্গে এক কাপ দই ও এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই স্মুদিও পেটের জন্য খুবই ভাল। নিয়মিত খেলে হজমশক্তি বাড়বে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হবে।