চুল গজাতে পেঁয়াজের রস
অতিরিক্ত পরিমাণে চুল উঠতে দেখলে দুশ্চিন্তা হওয়াই স্বাভাবিক। আর সাম্প্রতিক সময়ে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে অনেকে চুল পড়ার সমস্যায় ভুক্তভোগী। তাই চুল পরার সমস্যা কমাতে কেউ কেউ দামি শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, আবার কেউ ভরসা রাখেন প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর।
চুল পাতলা হয়ে গেলে বা টাক পড়তে শুরু হলে, পেঁয়াজের রস লাগানোর উপকারিতা কমবেশি সকলেই জানেন। পেঁয়াজের রস লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়। চুল লম্বা করতে বা চুলের ঘনত্ব বাড়াতেও পেঁয়াজের রস খুবই উপকারী। পেঁয়াজের রসে আছে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা চুলের গোড়ায় হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের মাত্রা কমায়। ফলে চুল অকালে পেকে যায় না।
এ তো গেলো পেঁয়াজের রসের গুণের কথা। এই টোটকার কিছু সমস্যাজনিত দিকও রয়েছে। নতুন চুল গজানোর লোভে ক্রমাগত পেঁয়াজের রস রোজ মাখতে শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। পেঁয়াজের রস থেকে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তা জেনে নিয়ে সতর্ক থাকুন।
১. পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে। যে কারণে মাথার ত্বকে চুলকানি, অ্যালার্জি হতে পারে। অনেকেরই ত্বক সংবেদনশীল। অ্যালার্জির ধাতও আছে। তারা আগে মাথার কিছু অংশে অল্প পরিমাণে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে দেখুন। যদি চুলকানি না হয়, তা হলে সপ্তাহে দু’দিন অল্প করে মাখতে পারেন।
২. সপ্তাহে এক দিন বা দু’দিন পেঁয়াজের রস লাগানো উচিত। প্রতিদিন একেবারেই নয়। পেঁয়াজের রস লাগিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকলে তাতে কিন্তু মাথার ত্বকে সংক্রমণও হতে পারে। পেঁয়াজের রসে আছে অক্স্যালিক অ্যাসিড। যা বেশি মাত্রায় চুলের গোড়ায় জমা হলে, চুল গজানোর বদলে ঝরতে শুরু করবে। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয় এই উপাদান, ফলে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যেতে শুরু করে।
৩. পেঁয়াজের রস চুলে লাগালেও তা আধ ঘণ্টা পরেই ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। না হলে মাথায় উগ্র গন্ধ তো হবেই, পেঁয়াজের রসের কোলাজেন চুলের সঙ্গে লেগে থাকবে। তাতে ভালো করে চুল ধোয়ার পরেও গন্ধ যাবে না। আর তার ওপর বেশি রাসায়নিক দেয়া কড়া শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের আরো বেশি ক্ষতি হবে।
৪. পেঁয়াজের রস থেকে কিন্তু ‘স্ক্যাল্প একজ়িমা’ হতে পারে। মাথার ত্বকে লালচে র্যাশ দেখা দেবে। ত্বক শুকিয়ে আঁশের মতো খসখসে হয়ে যাবে। প্রচণ্ড চুলকানি হবে মাথায়। তখন চুল কেটে ফেলে ওষুধ লাগানো ছাড়া আর উপায় থাকবে না।