Logo
Logo
×

বিনোদন

গান শুনিয়ে প্রথম আশীর্বাদ পেয়েছিে এন্ড্রু কিশোরের কাছে: নিলয়

Icon

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম

গান শুনিয়ে প্রথম আশীর্বাদ পেয়েছিে এন্ড্রু কিশোরের কাছে: নিলয়

নিলয় আহমেদ। ডি-রকস্টার সংগীত প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি নতুন করে তিনি আলোচনায় এসেছেন কোনালের সঙ্গে গাওয়া ‘ময়না’ গানের মধ্য দিয়ে। সংগীত নিয়ে নিজস্ব ভাবনা, এ সময়ের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা তার সঙ্গে

‘ময়না’ গানের সঙ্গে যেভাবে যুক্ত হলেন, সেই গল্পটি জানতে চাই...

গল্প আর কী, হঠাৎ একদিন অংশু ভাই [পরিচালক তানিম রহমান অংশু] ফোন দিয়ে বললেন, ‘একটি বড় প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। সেখানে তোমাকে লাগবে। আসিফ ভাইকে [গীতিকবি ও গানচিল মিউজিকের কর্ণধার আসিফ ইকবাল] একবার ফোন দাও, উনি তোমার সঙ্গে কথা বলবেন।’ এরপর আসিফ স্যারকে ফোন দেওয়ার পর তিনি ‘ময়না’ গানটি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। এরপর ‘ময়না’ গানের একটি ডেমো পাঠান। বলে দেন, ডেমোর সঙ্গে আমার কণ্ঠ রেকর্ড করে পাঠাতে। আমিও কণ্ঠ রেকর্ডিং করে পাঠিয়ে দিই। এরপরই কোনালের সঙ্গে গানের ফাইনাল রেকর্ডিং হয়।  

রেকর্ডিং শেষে এবারও কি মনে হয়েছে, প্রকাশের পর ‘ময়না’ গানটি শ্রোতাদের মাঝে এত সাড়া ফেলবে? 

‘ময়না’ গানটি অনেকের ভালো লাগবে– এটুকু অনুমান ছিল। কারণ এর কথা লিখেছেন নন্দিত গীতিকবি আসিফ ইকবাল, সুর করেছেন দুই বাংলার আলোচিত সংগীতায়োজক আকাশ সেন। সহশিল্পী হিসেবে আছেন সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কোনাল। দারুণ একটি গল্প নিয়ে ভিডিও নির্মাতা তানিম রহমান অংশু। যেখানে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী আর শরাফ আহমেদ জীবনের দর্শকপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী। যে আয়োজনে একসঙ্গে এত চমক রাখা হয়েছে, তা দর্শক-শ্রোতার মনোযোগ কাড়বে এমন অনুমান করাই যায়। তারপরও গান  প্রকাশের পর এত অল্প সময়ে এত সাড়া পাব সত্যি ভাবিনি।  

আগেও আসিফ ইকবালের লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই কী ‘ময়না’ গান গাওয়ার সুযোগ পাওয়া? 

এ কথা সত্যি যে, ১৭ বছর আগেই আসিফ স্যারের লেখা গানে কণ্ঠ দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। গানচিল থেকে প্রকাশিত ‘অগোছালো দূরত্ব’ নামের মিক্সড অ্যালবামে প্রথম তাঁর লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছিলাম। অ্যালবামের গানগুলো ছাড়াও তাঁর লেখা ‘পথিক’ শিরোনামে একক গানও গেয়েছি। সেই সূত্র ধরেই যে ‘ময়না’ গানটি গাওয়ার সুযোগ পেয়েছি, আমার তা মনে হয় না। কারণ শুরুতে ‘ময়না’ গানের ডেমোতে আমাকে কণ্ঠ দিতে বলা হয়েছিল। ডেমো গানটি শুনে ভালো লাগার পরই আমাকে ‘ময়না’র শিল্পী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়।   

ডি-রকস্টার সংগীত প্রতিযোগিতা চলাকালীন আপনাকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু প্রতিযোগিতা শেষে গানের ভুবনে সেভাবে সরব হতে দেখা যায়নি, কারণ কী? 

ডি-রকস্টার প্রতিযোগিতার পর একেবারেই হাত গুটিয়ে বসে ছিলাম, বিষয়টা এমন নয়। ডি-রকস্টারের সেরা দশ শিল্পীকে নিয়ে যে ডাবল অ্যালবাম প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে ‘দেশ আমার’ ও ‘সন্ধ্যা যখন’ শিরোনামে দুটি গান গেয়েছিলাম। এরপর ‘অগ্নিধ্বনি’, ‘দিনবদল’সহ আরও কিছু মিশ্র অ্যালবামে গান করেছি। আমার প্রথম ব্যান্ড বিভীষিকার গান ছাড়াও স্কুল অব নিলয় ব্যান্ডের অ্যালবাম প্রকাশ করেছি। অ্যালবাম ছাড়াও বেশ কিছু একক গান বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু সেগুলো ততটা প্রচার-প্রচারণা পায়নি। মিউজিক ভিডিওর জোয়ারের কারণেও কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। কারণ আমার গানগুলোর জন্য আলাদা করে কোনো ভিডিও নির্মাণ করা হয়নি। তাই কেউ যদি ভাবেন, গানের ভুবনে আমি ততটা সরব নই বা আড়ালে চলে গেছি, তাহলে তাদের দোষ দেওয়ারও কিছু নেই। তবে এও সত্যি যে, ‘ময়না’ গানটি আমাকে নতুন করে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছে। এজন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ আসিফ স্যার, গানচিল পরিবার এবং ‘ময়না’ গানের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষের প্রতি।

শুরুতে রক শিল্পী ও ব্যান্ড তারকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। পরে বিভিন্ন ধরনের গান গাইতে দেখা গেছে। ভার্সেটাইল হওয়ার ইচ্ছা থেকেই কী সব ধরনের গান গাওয়ার চেষ্টা? 

ডি-রকস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কারণেই রকশিল্পী হিসেবে কিছু মানুষ চিনেছেন। কিন্তু শুরু থেকেই আমি ভার্সেটাইল শিল্পী হতে চেয়েছি। ছোটবেলায় ওস্তাদ আখতার সাদমানের কাছে আমার উচ্চাঙ্গসংগীতের তালিম নেওয়ার মধ্য দিয়ে আমার শিল্পী হওয়ার বাসনা জেগেছিল। সেই সময় থেকেই উচ্চাঙ্গসংগীতের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গান গাওয়ার চেষ্টা করেছি। স্বপ্ন লালন করেছি, একজন প্লেব্যাক শিল্পী হওয়ার। আমার বাবা আজিজ আহমেদ বাবুল ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা। যার সুবাদে ছোটবেলায় সেইসব স্টুডিও গুলোতে যাওয়া-আসা ছিল যেখানে সিনেমার গান রেকর্ড করা হতো। আমি গান শিখছি শুনে, অনেকে গাইতে বলত। গান শুনিয়ে প্রথম আশীর্বাদ পেয়েছি এন্ড্রু কিশোরের কাছে। তাঁকেই সবচেয়ে বেশি কাছ থেকে দেখা। কারণ বাবার প্রায় সব সিনেমাতেই তিনি প্লেব্যাক করেছেন। তাঁকে দেখেই প্লেব্যাক শিল্পী হওয়ার বাসনা মনে গেঁথে গিয়েছিল। 

প্লেব্যাকের অভিজ্ঞতাও তো হয়েছে?

হয়েছে, তবে প্রথম প্লেব্যাক নিয়ে এখনও মনে আফসোস আছে। অদিতের সংগীত পরিচালনায় ‘হ্যালো অমিত’ নামের যে সিনেমায় প্রথম প্লেব্যাক করেছিলাম, সেটি আলোর মুখ দেখেনি। অবশেষে বহুবছর পর ‘৩৬-২৪-৩৬’ সিনেমায় ‘হলুদ হলুদ’ গানটির মাধ্যমে প্লেব্যক শিল্পী নিজেকে জানান দিতে পেরেছি। 

গান কী পেশা হিসেবে নেওয়ার ইচ্ছা আছে?

সত্যি এটাই, গানই এখন আমার পেশা। মাঝে চাকরি-বাকরি করলেও সব ছেড়ে ছুড়ে গানে মনোযোগী হয়েছি। কারণ চাকরি করলে গানে সেভাবে সময় দেওয়া যায় না। অন্যদিকে গান ছেড়েও দূরে সরে থাকতে পারি না। এই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব শেষমেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শিল্পীজীবন অনিশ্চিত হলেও আজীবন গানই গাইব। এখন তাই অডিও, ভিডিওর জন্য একক, দ্বৈত গান যেমন গাইছি, তেমনি সিনেমা, নাটকে প্লেব্যাক ও বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলেও কণ্ঠ দিয়ে যাচ্ছি।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন