জাবিতে বসন্তের রঙিন উৎসব: প্রকৃতির স্নিগ্ধ সাজে প্রাণের জাগরণ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১১:২১ এএম

ছবি : সংগৃহীত
‘পূর্ণিমা রাতে ঐ ছোটাছুটি করে কারা? দখিনা পবনে দোলে, বসন্ত এসে গেছে!’—শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে প্রকৃতি রঙিন বসন্তের ছোঁয়ায় সেজেছে। জানালার ফাঁক গলে সূর্যের আলোকছটা প্রবেশ করছে কক্ষে, পাখির কুজনে মুখর চারপাশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলো জনমানবশূন্য হলেও গাছে গাছে নতুন পাতা গজিয়ে সবুজের সমারোহ ছড়িয়ে পড়েছে। শিমুল-পলাশের রক্তিম আভা, কোকিলের কুহু কুহু ডাক, গন্ধরাজের সুবাস মিলিয়ে ক্যাম্পাসে বসন্তের উৎসবমুখর আমেজ।
বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যেন বসন্তের এক স্বর্গরাজ্য। শহিদ মিনার চত্বর, আবাসিক হল, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু করে বোটানিক্যাল গার্ডেন—সবখানে প্রকৃতি তার রূপের ডালি মেলে ধরেছে। পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, শিমুলের লালে রঙিন ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণে ফুটেছে বাহারি ফুল—গাঁদা, কসমস, বেলি, জিনিয়া, গোলাপ, সূর্যমুখী, চামেলি, টগর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফরিন সুলতানা বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর স্বপ্নের ক্যাম্পাস ছিল, তবে বসন্তকালে যে এতটা অপূর্ব রূপ নেয়, তা জানা ছিল না। এখানে ভর্তি হয়ে সত্যিই গর্বিত।’
বসন্ত শুধু প্রকৃতির পরিবর্তন নয়, বাঙালির আবহমান ঐতিহ্যের অংশ। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ দাশের কবিতায় বারবার উঠে এসেছে বসন্তের সৌন্দর্য, প্রেম ও প্রাণচাঞ্চল্য।
ফাল্গুন ও চৈত্র মাসজুড়ে প্রকৃতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। শীত বিদায় নিলে গ্রীষ্ম আসার আগেই প্রকৃতি সেজে ওঠে বসন্তের অনিন্দ্য রূপে। এই ঋতুর সৌন্দর্য সুরক্ষিত রাখা আমাদের দায়িত্ব। তাই আসুন, প্রাণ খুলে বসন্তকে বরণ করি!