সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি আপাতত স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের পরই কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, বিভিন্ন কোটায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে এবং বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য কোটায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত ৫ শতাংশ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে আলোচনা হয়। আগামী সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন উত্তীর্ণ হন, যা পাসের হার ৪৫.৬২ শতাংশ।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট ২৬৯টি আসন রয়েছে, যেখানে ১৯৩ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অপেক্ষাকৃত কম নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ফল প্রকাশের রাতেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন এবং ফল বাতিলের দাবি জানান।

বিতর্কের পর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করে। পরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।

নিয়ম অনুযায়ী, কোটায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে ডাকা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ভর্তি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।