Logo
Logo
×

শিক্ষা

বাংলা ব্লকেডে থমকে আছে শাহবাগ, যানবাহনের দীর্ঘ সারি

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম

বাংলা ব্লকেডে থমকে আছে শাহবাগ, যানবাহনের দীর্ঘ সারি

বাংলা ব্লকেডে অচল শাহবাগ

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ ‘বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। এরই অংশ হিসেবে আজ বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

ফলে শাহবাগ ও তার আশপাশের এলাকার সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে সড়কে আটকে থাকা যানবাহনের সারি আরও দীর্ঘ হচ্ছে।   

শুরুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে আসেন। এরপর একে একে শাহবাগ মোড়ের চারটি রাস্তা বন্ধ করে দেন। ফলে শাহবাগ থেকে প্রেস ক্লাবের দিকের রাস্তা, শাহবাগ থেকে বাংলামটরের দিকের রাস্তা, শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাবের রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এখনও শাহবাগ থেকে পরিবাগ হয়ে সায়েন্সল্যাবের সড়কে তীব্র যানজট লেগে আছে। তবে পল্টন মোড় থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে শাহবাগের দিকে আসা যানবাহগুলো ঘুরিয়ে কাকরাইল মসজিদের রাস্তাসহ অন্যান্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। অন্যদিকে বাংলামটরের দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো ইন্টারকন্টিনেন্টালের আগের রাস্তা দিয়ে ঢুকে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) সব ধরনের কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে সেই পরিপত্রের ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে’র অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন এই আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে নাকি বাতিল হবে সে ব্যাপারে আপিল বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

পরে গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেন। এর প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন