ছবি: সংগৃহীত
তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে কমিশন গঠনের দাবিতে সচিবালয়ে অনশনে বসেছেন কলেজটির ১৪ জন শিক্ষার্থী। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে দাবি পূরণে আশ্বাস না পাওয়ায় তারা সচিবালয়ের করিডোরে বসে অনশন শুরু করেন।
অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন, মেহেদী হাসান মাল, মাহামুদুল হাসান, জাহাঙ্গীর সানি, আমিনুল, নুর উদ্দিন জিসান, কাউসার আহমেদ, মোশারফ হোসেন, তোহা, নুর মোহাম্মদ, হাবিব উল্লাহ রনি, আব্দুল হামিদ ও নিরব হোসেন।
সচিবালয়ে তাদের অনশনে বসার খবর ছড়িয়ে পড়লে একই সময়ে রাজধানীর মহাখালীতে তিতুমীর কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই এলাকার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসায় তারা আশ্বস্ত হয়ে বিকেলে রেলগেট থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপরই সরকার বিষয়টি আবার টালবাহানা শুরু করে। এ কারণে তাদের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সচিবালয় না ছেড়ে সেখানেই অবস্থান করছেন। তারা অনশনে বসেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে আমতলী-গুলশান সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় তারা ‘এক, দুই, তিন চার, সব শালারা বাটপার’, ‘টিসি না টিইউ, টিইউ টিইউ’ ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে দাবি তুলে ধরছেন।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে ‘বারাসাত ব্যারিকেড’ কর্মসূচি করেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী— বিকেল ৪টার দিকে তারা সড়ক ছেড়ে কলেজ ক্যাম্পাসের দিকে ফিরে যান। তাছাড়া বিকেল ৩টার দিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে সচিবালয়ে যান কলেজের ১৪ জন শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কমিশন গঠনের দাবিতে গত দুই মাসে একাধিকবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন তারা। তাদের আন্দোলনে রাজধানীজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। তারা সরকারকে দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন।