ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরীফ ওসমান বিন হাদি মৃত্যুতে ফের বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাদ জুমা কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে—হাদি, হাদি’, ‘দিল্লি না ঢাকা—ঢাকা, ঢাকা’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘আয় মোদি দেখে যা, রাজপথে তোর বাপেরা’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) ও শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘হাদিকে নয়, বাংলাদেশের বুকে গুলি করা হয়েছে। ইনসাফের পক্ষে লড়াই থেমে যাবে এমনটা যারা ভাবছে তারা ভুল করছে। আমরা সারা দেশে লক্ষ হাদিতে পরিণত হবো। জুলাইয়ের পর হাদিরা মরে না।’
রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘হাদি ভাইয়ের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি, কিছু রাজনৈতিক দল হাদি ভাইয়ের লাশ নিয়ে রাজনীতি করছে। আমরা চাই, সবাই এক হোক এই প্রশ্নে। হাদির খুনিদের দেশে ফেরত না পাঠালে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন,‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগপন্থি কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী রবিবার থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ প্রশ্নে আর কোনো নমনীয়তা দেখানো হবে না।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে হাদির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যামপাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিনোদপুর গেট হয়ে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে গিয়ে সমবেত হয়।
পরে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ চালিয়ে যান তারা। একপর্যায়ে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভেঙে সেখানে পাবলিক টয়লেট করার ঘোষণা দেন। পরে বুলডোজার দিয়ে কার্যালয়টি ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ওসমান হাদি পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) মৃত্যুবরণ করেন তিনি।



