এবার সারাদেশে প্রাথমিকের শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আজ থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ। তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকা এবং তিন শিক্ষক নেতাকে শোকজ নোটিশ দেওয়ার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে টানা তৃতীয় দিনের মতো স্থগিত থাকছে বার্ষিক পরীক্ষা।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেন, সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি নেই, বরং তাকে ও আরও দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। তাই আন্দোলন জোরদার করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ নেই।
শিক্ষকরা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিশ্রুত তিন দফা দাবি ২২ দিন ধরে ঝুলে আছে। দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় বুধবার থেকে পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলবে।
সংগঠন সূত্র জানায়, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি পরিষদের আহ্বায়ক মো. আবুল কাসেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি, মু. মাহবুবুর রহমান এবং ২০২৩ ও ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষকদের শোকজ নোটিশেরও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
বুধবার সকাল ১১টায় দেশের প্রতিটি উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে শিক্ষকরা প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের তিন দফা দাবি
১. সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা দূর করা।
৩. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির ব্যবস্থা।
ডিপিই সূত্র জানায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৬৯টি এবং শিক্ষক সংখ্যা তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। প্রধান শিক্ষকরা ইতোমধ্যে ১০ম গ্রেডে বেতনভুক্ত হলেও সহকারী শিক্ষকরা রয়েছেন ১৩তম গ্রেডে। দীর্ঘদিন ধরেই তারা গ্রেড উন্নীতকরণ ও উচ্চতর গ্রেডসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আসছেন।
গত ৮–১২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। পরে শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ায় শিক্ষকরা আবার কর্মবিরতিতে ফিরেছেন।



