এক মাস আগেই জোবায়েদ হত্যার পরিকল্পনা করা হয় : পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনকে হত্যার পরিকল্পনা প্রায় এক মাস আগে থেকেই করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে তার ছাত্রী বর্ষা ও মাহির রহমান। তারা গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু করে। হত্যার দিন মাহিরের সঙ্গে আরও দুই বন্ধু ছিল। তারা হত্যার জন্য নতুন দুটি সুইচগিয়ার (ছুরি) কেনে এবং মাহির এলোপাতাড়ি ছুরি চালায়। মাহিরকে হত্যার জন্য উৎসাহিত করে বর্ষা।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হত্যা। বর্ষা ও মাহিরের নয় বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বর্ষা পরে জোবায়েদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। সে সময় বর্ষা মাহিরকে না করে দিয়ে জানায় যে, জোবায়েদকে পছন্দ করে। তবে কিছুদিন পর বর্ষা আবার মাহিরকে জানায়, জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। এরপরই বর্ষা ও মাহির মিলে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ষা হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছিল। কিন্তু পরে মাহির ও বর্ষাকে মুখোমুখি করলে তারা পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই তারা কীভাবে জোবায়েদকে সরিয়ে দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা শুরু করে। এখন পর্যন্ত বর্ষাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষের পথে।
জোবায়েদ হোসাইন ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী। একই সঙ্গে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।
ওসি জানান, এক বছর ধরে জোবায়েদ পুরান ঢাকার আরমানীটোলার ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলায় বর্ষাকে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন। বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন।
গত ১৯ অক্টোবর বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে বর্ষার বাসার তৃতীয় তলায় উঠার সময় সিঁড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন জোবায়েদ হোসাইন।



