দ্বিতীয় দিনের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, মঙ্গলবার ‘মার্চ টু সচিবালয়’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৩ এএম
২০ শতাংশ বাড়িভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
একই দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন বা ঘোষণা না এলে লং মার্চসহ পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার সকালে তিনি জানান, আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। ২০ শতাংশ বাড়িভাতা, ১,৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসবভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবেন না।
এর আগে সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকদের দাবি, সরকারের প্রস্তাবিত ভাতা বৃদ্ধি অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নেরও দাবি জানিয়েছেন।
গত রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
রোববার ও সোমবার রাতভর শিক্ষকরা শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে রাত কাটান। তাদের দাবি, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবে না।
এদিকে সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও কোনো শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না। শিক্ষক লাউঞ্জ, বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ও অফিসকক্ষে বসে তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকরা হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকায় অবস্থানরত আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা।



