কুবি উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ
কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম
বায়ে-উপাচার্য ডানে কোষাধ্যক্ষ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মানের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) তদন্তপূর্বক মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ১৭ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এ. এস. এম. কাসেম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ৭ জুলাই কর্মচারী নিয়োগের বিভিন্ন পদে আবেদনকারী ছয়জন ব্যক্তি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব বরাবর এক চিঠিতে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ কর্তৃক কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানায়।
চিঠিতে উত্থাপিত অভিযোগগুলো হলো—‘নিয়োগ পরীক্ষায় পছন্দের প্রার্থীদের সুযোগ করে দিতে দেরিতে কার্ড ইস্যুর বিষয়টি জানানো, ফলে অনেকে কার্ড পায়নি’, ‘লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি’, ‘পছন্দের প্রার্থীদের ভালো কম্পিউটার, অন্যদের ত্রুটিপূর্ণ সরবরাহ’, ‘ইন্টারনেট না থাকলেও মেইল করতে বলা’, ‘ফলাফল গোপন রেখে পূর্বনির্ধারিত প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিনে ডেকে সাক্ষাৎকার নেওয়া’, ‘উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগ দেওয়া’, ‘কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সোলায়মানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য ৮-১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া’, ‘সম্প্রতি ২৩ জন শিক্ষক নিয়োগে আইন লঙ্ঘন করে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ মিলিতভাবে ৩-৪ কোটি টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রদান’, ‘ভর্তি ফান্ডসহ বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করা’, ‘সিন্ডিকেট সভার তারিখ ও সময় এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যাতে সিন্ডিকেটের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি সদস্যরা অংশগ্রহণ করতে না পারেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের মহাপরিচালক (প্রশাসন), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়), চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার। ফলে প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ এবং আর্থিক দুর্নীতি প্রক্রিয়া বাধাহীনভাবে সম্পন্ন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই চিঠিটি আমরা পেয়েছি। এ রকম আমার আত্মীয়ের নিয়োগের বিষয়ে কিছু আমি জানি না। উনারা তদন্ত করে বের করুক, আমার সঙ্গে কারো আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে কি না।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোলায়মানের সঙ্গে কথা বলতে দপ্তরে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘চিঠিটি আমি এখনো পাইনি। আজকেই খোঁজ নেব। তারপর জানাতে পারব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠিটা পাঠিয়েছি। এখনো জবাব আসেনি। সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেবে তারা



