পাঠদান বন্ধ রেখে রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত স্কুলের ৪ শিক্ষক
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রেখে নিজের খেয়ালখুশিমত ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যস্ত সময় পার করার অভিযোগ উঠেছে চার শিক্ষককের বিরুদ্ধে। সরকারি চাকরির বিধিনুযায়ী ২০০৮ এর ৯ অনুচ্ছেদ এ বলা আছে,সরকারী চাকরীজীবিদের কোন রাজনৈতিক সংগঠনে জড়িত নিষিদ্ধ।
বিধিনিয়ম থাকলেও আইনকে মানছেন না শিক্ষকরা। নিয়মিত ক্লাসে না আসা, স্কুলের দায়িত্ব পালন না করে রাজনৈতিক মিটিং মিছিল আর প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত থাকা শিক্ষকরা হলেন, কবির মাহমুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন,যতীন্দ্রনারায়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল,পূর্বকুরুষাফেরুষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান মুকুল, রোশন তালুক শিমুল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সামসুজ্জামান হাসু।
তবে চাকরিতে দায়িত্বহীনতা থাকলেও সময়মত বেতন তুলতে ভুলছেন না ওই শিক্ষকরা। তাদের রাজনৈতিক প্রভাবে সহকর্মী শিক্ষকরাই শুধু ভয়ে নয় অভিভাবকরাও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পড়েছেন দুঃশ্চিন্তায়। এ ঘটনায় ফুলবাড়িতে সকল স্তরের মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রূত ব্যবস্থা নেয়া না হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবরে পড়ে যাবে বলে জানান স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,স্কুলের পাঠদান বন্ধ করে গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতে মিছিলে অংশ নেন শিক্ষক মো. আবুল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল। এছাড়াও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্কুলে না আসা উর্ধতন কর্মকর্তাদের ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেয়াসহ নানান কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছেন বলে জানান সহকর্মীরা। একই অভিযোগ আব্দুল মান্নান মুকুল ও সমাসুজ্জামান হাসুর বিরুদ্ধে। অথচ সরকারি বিধিনুযায়ী সরকারি চাকরীজীবিদের রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ।
এ বিষয়ে স্কুল সভাপতিকে একাধিক মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা পাননি বলে জানান স্থানীয়রা। তবে জেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তোলা হয়।
সহকর্মী শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান,আমরা সারা মাস পাঠদান করে হুস পাই না ওনাদের স্কুল আসার সময় হয় না। তবে বেতনের টাকা তুলতে মহোদয়রা ভূল করেন না। এদের বিরুদ্ধে দ্রূত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।
ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন,স্কুলে পাঠদান বন্ধ রেখে কোন শিক্ষকই রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি এই মাত্র জানলাম,অভিযোগ পেলে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



