চবির প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১২ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় পুরোনো কলাভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তোলা হয়।
লিখিত বক্তব্যে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ৩০ আগস্ট রাতে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরও প্রশাসন দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়। পরদিন সকালে শিক্ষার্থীদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে হুমকি দেওয়া হয়, এমনকি নারী শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আহত হলেও প্রশাসন নীরব থেকেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বারবার ফোন করলেও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে যেতে দেরি করে। আহতদের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা ছিল না। তাঁদের ভাষায়, ‘এই প্রক্টরিয়াল বডি অযোগ্য, ব্যর্থ ও অনুপযুক্ত।’
এ ছাড়া মামলার এজাহারে মূল সূত্রপাত ঘটানো দারোয়ানের নাম না থাকা এবং অনুপস্থিত ব্যক্তিদের আসামি করা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সাত দফা দাবি
সংবাদ সম্মেলনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুসান কবির শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে—
আহতদের মানসম্মত চিকিৎসার নিশ্চয়তা,
ক্যাম্পাসে নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা,
হামলার ভিডিও প্রকাশকারীদের নিরাপত্তা,
প্রকৃত অপরাধীদের বিচার,
অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন,
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন,
ব্যর্থ প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শনিবারের মধ্যে এসব দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নিরাপদ আবাসনের বিষয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
৩০ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে পরদিন দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন জোবরা গ্রামবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২২০ জন আহত হন, এর মধ্যে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী। তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, একজন এখনো লাইফ সাপোর্টে আছেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করে এবং পুলিশ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।



