জাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পুরো ক্যাম্পাস
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪০ এএম
ফাইল ফটো
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। দীর্ঘ বিরতির পর এ নির্বাচন ঘিরে পুরো ক্যাম্পাস এখন উৎসবমুখর। কোথাও পোস্টার, কোথাও মিছিল, আবার কোথাও প্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি আলাপ—সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী উচ্ছ্বাস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সোমবার সকাল থেকেই বটতলা, মুরাদ চত্বর, টারজান পয়েন্টসহ বিভিন্ন অনুষদের সামনে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশ নেন। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রবিন বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন হচ্ছে। মনে হচ্ছে, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় উৎসবের আমেজে ভরে গেছে। প্রার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা আলাদা মাত্রা যোগ করছে।
এবারের নির্বাচনে মোট আটটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম থেকে ভিপি পদে লড়ছেন আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল। তিনি বলেন, আমরা সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রচারণা চালিয়েছি। দীর্ঘ বিরতির পর শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ভিন্ন রকম উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে।
শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে আমাদের ভাবনা জানাচ্ছি এবং তাঁদের পরামর্শও নিচ্ছি। সাড়া ভালো মিলছে।
তবে অনেক শিক্ষার্থী ফাইনাল পরীক্ষার কারণে নির্বাচনী আমেজে পুরোপুরি যুক্ত হতে পারছেন না। ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রাজিন বলেন, ৩, ৭ ও ১১ তারিখে পরীক্ষা থাকায় পড়াশোনাতেই বেশি সময় দিতে হচ্ছে। ফলে নির্বাচনী উৎসব উপভোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু জানান, এ সমস্যার সমাধানে তাঁরা ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কমিশনের হাতে নেই। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, আশা করি উদ্যোগ নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় জানা গেছে, এবার জাকসুর ২৫টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোট ১৭৯ জন প্রার্থী। ভিপি পদে লড়বেন ১০ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন। এছাড়া শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৯ জন, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক পদে ৬ জন এবং সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।



