বাসে কুবি ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, ২ আসামির জেল
কুমিল্লা প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী চট্টগ্রামগামী সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাসে শ্লীলতাহানি ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। এ সময় তার হাত-পা বেঁধে গলায় থাকা সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার পর বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দুই আসামিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আলেখারচর থেকে চট্টগ্রামগামী বাসে ওঠেন ওই ছাত্রী। বাস ফাঁকা থাকায় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের পথে হেলপারসহ চারজন মিলে তার হাত-পা বেঁধে গলার চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং যৌন হয়রানি করে। পরে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ছাত্রীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে বাস আটকান। এ সময় পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পালিয়ে গেলেও দু’জনকে আটক রাখা হয়। পরে কুমিল্লা বরুড়ার আলী হোসেন ও নারায়ণগঞ্জের মোহাম্মদ আলীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঘটনার খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা দ্রুত মহাসড়কে অবস্থান নেন। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে পুলিশের গাড়ি ও সেন্টমার্টিন পরিবহনের দু’টি বাস আটক করে রাখেন। এতে প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, পুলিশের ভূমিকা শুরুতে অস্পষ্ট ছিল। এ কারণে তারা অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পরে দ্রুত বিচার ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম বলেন,“আটক দুজনকে মোবাইল কোর্টে দুই বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ভুক্তভোগীর ক্ষতির ক্ষতিপূরণ বাস মালিকের কাছ থেকে আদায় করা হবে।”
কুবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী জানান,“বিচার প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও এক মাসের মধ্যে চার্জশিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পুলিশ।”



