Logo
Logo
×

অর্থনীতি

আইএমএফের ঋণের কিস্তির শর্ত নিয়ে দরকষাকষি

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫, ০১:১৯ এএম

আইএমএফের ঋণের কিস্তির শর্ত নিয়ে দরকষাকষি

ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সংস্থাটির আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, তবে একটি শর্ত নিয়ে এখনও অচলাবস্থা বজায় রয়েছে। টাকার বিনিময়ে ডলারের মূল্য নির্ধারণ পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মতভেদ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য—বর্তমানে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আইএমএফ পক্ষান্তরে বলছে, এই শর্ত পূরণ না হলে কিস্তি ছাড় অসম্ভব।

সূত্র জানায়, মূলত তিনটি শর্ত নিয়েই আলোচনা চলছিল—ডলারের বিনিময় হার বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়া, রাজস্ব আয়ের পরিমাণ বাড়ানো এবং ব্যাংক খাত সংস্কারের রূপরেখা প্রদান। পরবর্তীতে রাজস্ব আয় ও ব্যাংক খাত নিয়ে সমঝোতা হলেও বিনিময় হার নিয়ে মতানৈক্য রয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের যুক্তি, বর্তমানে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে এবং মূল্যও স্থিতিশীল রয়েছে। আমদানি খরচও নিয়ন্ত্রিত। এই অবস্থায় বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে হঠাৎ ডলারের দাম বাড়তে পারে, যা টাকার মান কমিয়ে দেবে এবং মূল্যস্ফীতির হার বাড়িয়ে দেবে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ঘরে নেমে এলেও একসময় তা ১১.৬৬ শতাংশে পৌঁছেছিল। সরকার এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, তাই এই অবস্থায় ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না।

তবে সর্বশেষ আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুটা নমনীয় হয়েছে। তারা ডলারের সর্বোচ্চ দামের সীমা বাড়াতে রাজি হয়েছে। যদিও আইএমএফ এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত মত দেয়নি, তবে পরবর্তী বৈঠকে এ নিয়ে আবার আলোচনা হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএমএফের সঙ্গে দীর্ঘ এই দরকষাকষি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কূটনীতির সক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়। অতীতে আইএমএফের সঙ্গে এতো দীর্ঘ আলোচনার নজির খুব একটা ছিল না। এমনকি ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়ার সময় রিজার্ভ যখন ১০০ কোটির নিচে নেমে এসেছিল, সেসময়ও এতো ব্যাপক দরকষাকষি হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট চরমে উঠলে আইএমএফের কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চাওয়া হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অনুমোদনের পর তিনটি কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পাওয়া গেছে। চতুর্থ কিস্তি গত ডিসেম্বরেই ছাড় হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন পর্যন্ত আটকে আছে। কয়েক দফা বৈঠকের পরও সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। মে মাসে আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে চূড়ান্ত সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আশাবাদী, আলোচনার মাধ্যমে একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং ঋণের বাকি কিস্তি পাওয়া যাবে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন