বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য এখন তিন মাস অন্তর জমা বাধ্যতামূলক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের (উইলফুল ডিফল্টার) বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তিন মাস অন্তর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে প্রতি ত্রৈমাসিকে এসব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) জমা দিতে হবে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ–সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে। এর আগে ২০২৪ সালের ১২ মার্চ জারি করা প্রজ্ঞাপনে শুধু ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থার তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তবে নতুন নির্দেশনায় তথ্য জমাদানের নিয়ম আরও বিশদ ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নতুন সার্কুলারে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে:
চূড়ান্ত শনাক্তকরণ ও সিআইবি রিপোর্টিং:
ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্ত করার পর, তার নাম ‘উইলফুল ডিফল্টার’ হিসেবে সিআইবিতে জমা দিতে হবে।
ত্রৈমাসিক বিবরণী দাখিল:
এসব ঋণগ্রহীতাদের তথ্য সংবলিত বিবরণী প্রতি তিন মাস অন্তর তৈরি করে পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করতে হবে। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় দলিলপত্রও জমা দিতে হবে।
ব্যাংকের শনাক্তকরণ ইউনিটের তথ্য:
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শনাক্তকরণ ইউনিটে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম, মোবাইল নম্বর ও ই–মেইল ঠিকানা জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য দাখিলের জন্য একটি নির্ধারিত ফরমও তৈরি করেছে। সেখানে ব্যক্তিগত ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম এবং কখন তাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে—এসব তথ্য দিতে হবে।
ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বত্বাধিকারীর নাম, এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এই নির্দেশনার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের সুশৃঙ্খলভাবে নজরদারির আওতায় আনার পাশাপাশি ঋণ অনিয়ম প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পথ উন্মুক্ত হলো।



