
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম
শনিবার ঢাকায় আসছে আইএমএফের প্রতিনিধি দল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২৩৯ কোটি মার্কিন ডলারের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে শর্ত পর্যালোচনায় ঢাকায় আসছে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল। চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় এই অর্থ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আইএমএফের দলটি আগামীকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকায় পৌঁছাবে এবং দুই সপ্তাহব্যাপী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। সফরের শুরু ও শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে পৃথক দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধি দলটি অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবে। সফর শেষে ১৭ এপ্রিল আইএমএফ একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করবে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের পর তিনটি কিস্তিতে মোট ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে সংস্থাটি।
চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির মোট ২৩৯ কোটি ডলার জুন মাসে একসঙ্গে ছাড় পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার আশাবাদী।
সম্প্রতি অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, আগামী বাজেট সহায়তার জন্য আইএমএফের ঋণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফ ও বাংলাদেশ সরকার সম্মত হয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কিস্তি ছাড়ে তিনটি বড় শর্ত পূরণে এখনো চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এই তিনটি শর্ত হলো:
মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা
জিডিপির ০.৫ শতাংশ সমপরিমাণ অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়
এনবিআরের রাজস্ব নীতি বিভাগ থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করা
বাংলাদেশ সরকার আইএমএফকে আশ্বস্ত করেছে, এসব শর্ত বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত রাজস্ব প্রশাসন আলাদা করার পরিকল্পনা ছাড়া অন্য দুটি বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
মুদ্রা বিনিময় হার বিষয়ক শর্তে কিছুটা নমনীয়তা আনা হয়েছে। বর্তমানে 'ক্রলিং পেগ' পদ্ধতিতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে, যার ফলে হঠাৎ করে ডলারের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমেছে। বর্তমানে বাজারে ডলারের দাম ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।