১৪ বছরে ২৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশি ঋণ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পিএম
১৪ বছরে ২৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশি ঋণ
সাবেক সরকার রিজার্ভের অর্থ ব্যবহার করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল এবং এক্সপ্রেসওয়ের মতো বড় বড় অবকাঠামো তৈরি করেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং গভীর সমুদ্রবন্দরও প্রায় প্রস্তুত। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে কিছু মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি শুরু হওয়ায় প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এদিকে, বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি ৯০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।
বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত ১৪ বছরে বিদেশি ঋণ প্রায় ২৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ৭৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বেশিরভাগই দীর্ঘমেয়াদি ঋণ। গত বছর এই ঋণের সুদ প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার হয়েছে। মেগা প্রকল্পগুলোর জন্য সরকারকে ১০০ বিলিয়ন ডলার শোধ করতে হবে।
স্বল্পমেয়াদি ঋণ এবং দ্বিপাক্ষিক ঋণও রয়ে গেছে। আইএমএফের নতুন ঋণের অর্থছাড় হওয়ার কারণে এই চাপ আরও বাড়বে। বর্তমানে কোনো কিস্তি বাদ না পড়লেও, অন্তর্বর্তী সরকার এই চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বেশিরভাগ বিদেশি ঋণের গ্যারান্টি স্থানীয় ব্যাংক দিয়েছে। যদি অর্থ ফেরত দিতে দেরি হয়, তবে অর্থনীতিতে চাপ পড়বে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলছেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো প্রকল্পগুলো কারিগরি দিক এবং বাস্তবায়নের সক্ষমতা দেখে। ঋণের বিষয়ে তাদের ব্যবসায়িক আগ্রহ সবসময় গুরুত্ব পায় এবং বিশ্বাস ছিল যা এখন ঘাটতিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলছেন, সরকারকে দেশের সঠিক অবস্থা প্রমাণ করতে হবে। নিয়মকানুন, বিচার ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা সবকিছু সঠিক আছে এটি প্রমাণ করতে হবে। কারণ ঋণদাতা সংস্থাগুলো সবকিছু যাচাই করেই ঋণ প্রদান করে।
জানুয়ারিতে বাজেট সংশোধন হলে বর্তমান সরকার স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া কমাবে এবং ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়তে পারে।