আমদানির খবরে রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কমল ২৫ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ পিএম
দেশের বাজারে লাগামহীন দাম বাড়তে থাকায় সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয়। অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এ খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের ব্যবধানে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
রোববার সকালে রাজধানীর শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা কেজি দরে, যেখানে শনিবার বিকেলেও দাম ছিল ১৩০ টাকা। ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজিতে, আগের দিন যা ছিল ১১৫-১২০ টাকা। খুচরা বাজারেও সামান্য স্বস্তি এসেছে। গতকাল বিভিন্ন বাজারে খুচরায় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকায়, যেখানে শনিবার ছিল ১৪০-১৫০।
বিক্রেতাদের মতে, আমদানির পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম দ্রুত কমছে। গতকাল দিনভর শ্যামবাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৯০ টাকা কেজিতে। সকালে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বিকেলে তা নেমে আসে ৬৫ টাকায়, যা আগের দিন ছিল ৭৫-৯০ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, পেঁয়াজের বাজার এখন অনেকটাই হুজুগে ওঠানামা করছে। এলসির পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি, হয়তো রাতে আসবে। তবে আমদানির খবর পেলেই পাইকাররা দাম কমিয়েছেন। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসাও মূল্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে।
এদিকে দীর্ঘ তিন মাস পর ভারত থেকেও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার বিকেল ৪টায় দিনাজপুরের হিলি দিয়ে প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিলির কাঁচাবাজারেও দাম কমতে শুরু করে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১০০ টাকায় এবং শুকনো দেশি পেঁয়াজ ২০ টাকা কমে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যেখানে আগের দিন দাম ছিল ১৩০ টাকা।
চলতি সপ্তাহে আরও চালান বাজারে এলে দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।



