তেল, পেঁয়াজ, সবজির চড়া দামে ভোক্তাদের হাঁসফাঁস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪১ এএম
সরকারের অনুমোদন ছাড়াই মিলমালিকরা লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে ভোজ্যতেলের নতুন দাম বাজারে ছাড়ছেন। আগের কম দামের তেল উধাও, নতুন দামের বোতল দোকানে সাজানো। ক্রেতাদের সামনে যেন এক প্রহেলিকা তেল আছে আবার নেই। কেউ সাহস করে রাখছেন, কেউ রেখেও বিক্রি করছেন অস্বস্তিতে। ফলে অনেকেই খালি হাতে ফিরছেন দোকান থেকে। পাঁচ লিটার তেলের দাম একলাফে ৯২২ থেকে ৯৬৫ টাকায়, দুই লিটার ২৭৮ থেকে ২৯৮ টাকায় উঠে গেছে। কারওয়ান বাজারে ক্ষুব্ধ ভোক্তারা বলছেন, পাঁচ লিটারে অতিরিক্ত ৪৫ টাকা যেন বুকের ওপর ইটের ওজন।
এদিকে বাজারে নতুন পেঁয়াজ এলেও দাম উল্টো উর্ধ্বগামী। গতকাল কেজিতে আরও ২০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকায় ঠেকেছে পুরোনো পেঁয়াজ। বিক্রেতারা জানান, মৌসুম শেষে সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ দাম চড়েছে। বড় সাইজের পাবনার পেঁয়াজ কেজি ১৩০, ফরিদপুরের ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা, রসুন, আলু আগের দামেই চলছে, তবে স্বস্তি তেমন নেই।
শীতের সবজি বাজারে স্তূপ হয়ে উঠলেও দাম কমার লক্ষণ নেই। বেগুন থেকে শিম, টমেটো থেকে করলা—বেশিরভাগই ১০০ টাকার গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। বাজারের প্রতিটি ঘুরপাকেই ক্রেতাদের মুখে ক্লান্তির রেখা।
ধান উঠেছে মাঠ থেকে, কিন্তু চালের দামও জেদী। বিভিন্ন কোম্পানির মিনিকেট এখনো ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে, কিছু ব্র্যান্ডে আরও বেশি। আটাশ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা এবং মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায় মিললেও তাতে সামগ্রিক স্বস্তি নেই।
মাছ-বাজারেও একই ছবি। ইলিশ একটু কম দামেই মিলছে বটে, কিন্তু এখনো ক্রেতার নাগালের বাইরে। এক কেজির বেশি ওজন হলে কেজি ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগি ও ডিমের বাজারে আগের দর চালু থাকলেও বিভিন্ন এলাকায় আরও বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
সব মিলিয়ে বাজার যেন এক উত্তাল তরঙ্গ, যেখানে প্রতিদিন ক্রেতারা ডুবে যাচ্ছেন অতিরিক্ত চাপের স্রোতে।



