ব্যাংক কর্মকর্তারা পাবেন ৫% প্রণোদনা অবলোপন ঋণ আদায়ে
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম
দীর্ঘদিন অনাদায়ী অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে উৎসাহ দিতে নতুন প্রণোদনা নীতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কোনও ব্যাংক কর্মকর্তা অবলোপনকৃত ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে বকেয়া অর্থ আদায় করতে পারলে তিনি আদায়কৃত টাকার ৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রণোদনা পাবেন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব ব্যাংকের এ ধরনের প্রণোদনা নীতিমালা নেই, তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকেই এটি কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অবলোপনের আগে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে অন্তত ৩০ কর্মদিবস আগে লিখিতভাবে নোটিশ দিতে হবে। একইসঙ্গে অবলোপনের আগে অবশ্যই ‘অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩’ অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে, যদি আগে না করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় অনাদায়ী অবস্থায় থাকা অবলোপনকৃত ঋণ ব্যাংকের স্থিতিপত্রে প্রদর্শনের কারণে আর্থিক প্রতিবেদন অপ্রয়োজনীয়ভাবে বড় হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যাংকিংনীতির অংশ হিসেবে, একটানা দুই বছর মন্দ বা ক্ষতিজনক শ্রেণিতে থাকা ঋণ অবলোপনের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এসব ঋণ অবলোপনের পরও সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে পুরো দায় পরিশোধ না করা পর্যন্ত খেলাপি হিসেবেই গণ্য করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, অবলোপনযোগ্য ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয় বিধায় ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। পাশাপাশি, পুরোনো ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবলোপন করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দুই ধাপ নিচের একজন কর্মকর্তাকে ‘অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট’-এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। এই ইউনিটের মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থের ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা হিসেবে বিতরণ করা যাবে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ব্যাংকের এমডি/সিইও পাবেন, বাকি অংশ ইউনিট প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
এ পদক্ষেপে ব্যাংক কর্মকর্তারা অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে আরও উৎসাহিত হবেন এবং ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর হবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।



