Logo
Logo
×

অর্থনীতি

রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে জাপান যাচ্ছেন

Icon

শামসুল আলম সেতু

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম

রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে জাপান যাচ্ছেন

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জাপান সফরে যাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য রপ্তানির সম্ভাবনা নতুন করে খুঁজে বের করা আমদানির পাশাপাশি জাপান যে সব পণ্য বিদেশথেকে আমদানি করে সেইসব পণ্য বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা যায় কিভাবে তা খতিয়ে দেখা

জাপানের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ওই সব পণ্য নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা ব্যবসায়ী নেতা এবং উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস তারা চেষ্টা করলে সফল হবেই আগামী সপ্তাহে এই ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জাপান যাবেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে

ঢাকার ব্যবসায়ী সমাজে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে জাপান সফরের উদ্যোগ নিয়ে। শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জাপানযেখানে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিকস, মেশিনারিজ, গাড়ি আমদানি করে বাংলাদেশ। কিন্তু এই আমদানির বিপরীতে রপ্তানি সুযোগগুলো ব্যবহার হচ্ছে না বলেই আক্ষেপ ব্যবসায়ীদের।

এই আক্ষেপ থেকেই এবার উদ্যোক্তাদের একদল নিজ উদ্যোগে জাপান যাচ্ছেন। নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্যবসায়ী নেতা ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমির হোসেন নূরানী। তাঁর চোখে এটি কেবল একটি সফর নয়, বরং বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা নতুন করে খুঁজে বের করার এক প্রচেষ্টা।

বাংলাদেশের অর্থনীতি এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। একদিকে জাপানের মতো শক্তিশালী বাজারে প্রবেশের সুযোগ, অন্যদিকে এফবিসিসিআইতে নেতৃত্বের শূন্যতা, নীতি সহায়তার ঘাটতি। ব্যবসায়ীরা তাই মনে করছেন, এফবিসিসিআইতে দ্রুত নির্বাচন ও কার্যকর নেতৃত্ব ছাড়া কোনো বিদেশি সফরই কাঙ্ক্ষিত ফল বয়ে আনবে না।

জাপান সফর নতুন সম্ভাবনার বার্তা আনতে পারেকিন্তু সেই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ দিতে হলে দরকার হবে সঠিক নেতৃত্ব, নীতি সহায়তা আর আস্থার পরিবেশ।

শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জাপানে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক কয়েকজন পরিচালক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। তারা আশা করছেন, জাপান থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক্স পণ্য, মেশিনারিজ, যন্ত্রপাতি, গাড়িসহ অন্যান্য জিনিস আমদানির বিপরীতে রপ্তানিরও সুযোগ রয়েছে। আর এ বিষয়টি সামনে রেখেই শীঘ্রই জাপান সফরে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল।

এমন পরিস্থিতিতে জাপান সফরটিকে অনেকেই একটি আশার আলো হিসেবে দেখছেন। যদি সেখানে নতুন বাজার খোলা যায়, তবে তা শুধু রপ্তানি বাড়াবে না, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থাও ফিরিয়ে আনবে।

একজন সিনিয়র ব্যবসায়ী বলেন,“জাপান সফর আমাদের জন্য দরজা খুলে দিতে পারে। কিন্তু সেই দরজা দিয়ে পা রাখার জন্য দরকার ঘরে বসে থাকা নেতৃত্বকে সক্রিয় করা।”

এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্যবসায়ী নেতা, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও স্টিল ও আয়রন খাতের উদ্যোক্তা আমির হোসেন নূরানী। তিনি জানান, আগামী সপ্তাহ নাগাদ আমরা ব্যবসায়ীরা জাপান সফরে যাচ্ছি। আর এ সফরের মূল লক্ষ্য জাপানে রপ্তানি বাড়ানো। দেশটি থেকে বিপুল পরিমাণ আমদানি করা হয়, এটার ঠিক বিপরীতে আবার রপ্তানিও হতে পারে। জাপানের উদ্যোক্তারা এখন বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্যের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য, যেমস ফলমূল, শাক-সবজি, হিমায়িত মাছ, পাটপণ্য ও হোয়াইট ব্লু চামড়ার মতো পণ্য আমদানি করতে চান।

আমরা সেই আলোচনা এগিয়ে নিতে জাপানের টোকিও এবং ওসাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বৈঠক করব। এছাড়া সফরের সময় দু’দেশের ব্যবসায়ীরা বি-টু-বি বা ব্যবসায়ী টু ব্যবসায়ী আলোচনা করার সুযোগ পাবেন। আশা করছি, এবারের সফরের মধ্যদিয়ে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণ হবে

ব্যবসায়ী নেতা ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত এফবিসিসিআই থেকে ইতোপূর্বে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে কাজ করা হতোকিন্তু সংগঠনটিতে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ না থাকায় সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ছেএজন্য বিদেশি বিনিয়োগ কাক্সিক্ষত হারে আসছে না। দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, এফবিসিসিআইতে নির্বাচিত নেতৃত্ব প্রয়োজনসহায়ক কমিটি নামে যারা আছেন এরা আসলে কেউ প্রকৃত ব্যবসায়ী নয়। যার কারণে এদের কাছে কেউ সমস্যার সমাধানে যায় না।

শুধু নেতৃত্বের অভাব নয়, ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেনএনবিআরের সঙ্গে কর ও ভ্যাট নীতি নিয়ে আলোচনায় তারা প্রতিনিধিত্ব পাচ্ছেন না। উল্টো নানা হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে।

পোর্ট চার্জ বাড়ছে,

ট্যাক্স চাপ বাড়ছে,

আর্থিক খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

সবচেয়ে বড় সমস্যা সুদের হার। এক সময় যেখানে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ছিল, সেখানে এখন আবার তা বাড়তে শুরু করেছে।

সরকারের উচিত, দ্রুত এফবিসিসিআইতে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিতদের হাতে দায়িত্ব দেওয়া। উল্লেখ্য ইতোপূর্বে এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান জোর দিয়ে বলেছিলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এফবিসিসিআই নির্বাচন সম্পন্ন করতে সরকার আন্তরিক। সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বেশিরভাগ ব্যবসায়ী নির্বাচন চান। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ততই সংশয় ও উদ্বেগ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। এফবিসিসিআই নির্বাচনের লক্ষ্যে দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে সিনিয়র ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমানে সর্বোচ্চ এপেক্স বডি এফবিসিসিআইতে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ না থাকায় ও ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এসে প্রতিনিধি না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন