২০২৫ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৪% হবে: এডিবি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৪ শতাংশ, যা ২০২৬ অর্থবছরে বেড়ে ৫ শতাংশে পৌঁছাবে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এডিবির ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ (এডিও) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা, বারবার বন্যা, শিল্প শ্রমিক বিরোধ এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাস পেয়েছে, যা প্রবৃদ্ধিকে ধীর করেছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনও দৃশ্যমান নয়, তবে ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা রয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বাণিজ্য অনিশ্চয়তা, নীতিগত স্থিতিশীলতার অভাব এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এজন্য বিচক্ষণ অর্থনৈতিক নীতি ও কাঠামোগত সংস্কার জরুরি।
এডিবি আরও জানায়, পাইকারি বাজারে প্রতিযোগিতার অভাব, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলের সীমাবদ্ধতা এবং টাকার দুর্বলতার কারণে ২০২৫ অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা ২০২৪ অর্থবছরে ছিল ৯.৭৭ শতাংশ।
চলতি হিসাবে ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপির ০.০৩ শতাংশ উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আগের বছরের ১.৫ শতাংশ ঘাটতির তুলনায় উন্নতি। এই প্রবৃদ্ধি মূলত বাণিজ্য ব্যবধান সংকোচন এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে সম্ভব হবে।
২০২৬ অর্থবছরে ভোগব্যয়, শক্তিশালী রেমিট্যান্স এবং নির্বাচন-সম্পর্কিত ব্যয় প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে। তবে আর্থিক ও রাজস্ব নীতির কড়াকড়ি এবং বৈশ্বিক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে রপ্তানি ও বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০% শুল্ক বৃদ্ধি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে কঠোর প্রতিযোগিতা রপ্তানিকারকদের ইউনিট মূল্য কমাতে বাধ্য করতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি বর্তমানে ৬৯টি সদস্য দেশের সঙ্গে কাজ করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে।



