Logo
Logo
×

অর্থনীতি

খেলনা শিল্পের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন দাবি

Icon

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

খেলনা শিল্পের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন দাবি

ডিসিসিআইতে “রপ্তানি বহুমুখীকরণ; খেলনা উৎপাদন শিল্পে উদ্ভাবন এবং রপ্তানির সম্ভাবনা” শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পণ্য উদ্ভাবন এবং ডিজাইনে নতুনত্ব আনা জরুরী উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, খেলনা শিল্পের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের খেলনা শিল্প রপ্তানি বাজারে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে সম্ভাবনা থাকলেও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ এই শিল্পের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। এর মধ্যে রয়েছে শিল্পের মান যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষাগার না থাকা এবং কাঁচামাল আমদানিতে উচ্চ শুল্কের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া।

মঙ্গলবার (২৩) সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) মিলনায়তনে রপ্তানি বহুমুখীকরণ: খেলনা উৎপাদন শিল্পে উদ্ভাবন এবং রপ্তানির সম্ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। ঢাকা চেম্বার এ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ।

সভায় জানানো হয়, খেলনা শিল্পে আন্তর্জাতিক মান যাচাইয়ের কোনো স্বীকৃত পরীক্ষাগার দেশে নেই। ফলে মান নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয় এবং রপ্তানিতে ব্যয় বাড়ে। এছাড়া, প্যাকেজিং উপকরণ ও কাঁচামাল আমদানিতে উচ্চ শুল্কের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। বিদেশি লাইসেন্সযুক্ত খেলনার বাজারে প্রবেশ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে দেশীয় উদ্যোক্তাদের।

এ সময় জানানো হয়, আগামী দিনে খেলনা শিল্প হতে পারে দেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য। বিশ্ববাজারে এর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। ২০২৩ সালে বিশ্বে খেলনার বাজার ছিল প্রায় ১০২.৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০৩২ সাল নাগাদ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলারে। এক দশক আগেও দেশের ৮০ শতাংশ খেলনা বিদেশ থেকে আমদানি হতো। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি উল্টো বর্তমানে ৮০ শতাংশ খেলনা দেশেই তৈরি হচ্ছে।

ঢাকা চেম্বার জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের খেলনা শিল্পে প্রায় ১৪৭টি কারখানা সক্রিয় রয়েছে। যেখানে কাজ করছেন অন্তত ২০ হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী শ্রমিক। গত বছর বাংলাদেশ প্রায় ৮৮টি দেশে ৭৭ মিলিয়ন ডলারের খেলনা রপ্তানি করেছেসনিক বাংলাদেশকাপকেক এক্সপোর্টস-এর মতো দেশীয় কোম্পানি ইতোমধ্যে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যজাপানের বাজারে জায়গা করে নিতে পেরেছে

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং জালালাবাদ পলিমারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে মোঃ জহিরুল হক বলেন, এখাতের পণ্য উদ্ভাবন এবং ডিজাইনে নতুনত্ব আনায়ন জরুরী। মুসা বিন তারেক জানান, উচ্চ শুল্কহারের কারণে প্লাস্টিক কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় বাড়ার কারণে ফলে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকার প্লাস্টিক খাতের সবুজ ও হলুদ ক্যাটাগরীতে শিল্পের নবায়ন যথাক্রমে ৫ ও ২ বছরের মওকুফ করেছে, যা ব্যবসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ করবে পাশাপাশি এখাতে গবেষণার জন্য শিক্ষাখাতকে সম্পৃক্ত করা এবং জ্বালানী, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। মোঃ আনিসুর রহমান এখাতের সংশ্লিষ্ট শুল্ক ও পলিসির সঠিক বাস্তবায়নের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের সুদের হার হ্রাসের উপর জোরারোপ করেন। ওয়াসির ওবায়েদ বলেন, এখতের সাপ্লাইচেইন শক্তিশালীকরণ, নীতিমালার সুসংহতকরণ, পণ্যের মেধাস্বত্ত্ব এবং সরকারী সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বয় বাড়ানোর আহ্বান জানান। বেলাল আহেমদ বলেন, প্লাস্টিক ভিত্তিক খেলনা শিল্পের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণে উদ্যোক্তারা সরকারী সহায়তা হতে বঞ্চিত হচেছ, যার করণে রপ্তানি ব্যাহত হচেছ। মোঃ মামুন-উর রশিদ আসকারী বলেন, সিঙ্গেল ইউন্ডো ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান যার মাধ

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোঃ সালিম সোলায়মান এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিনিধিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন