আমদানি বাড়ায় চালের দাম কিছুটা কমলেও সবজি-মাছের বাজার এখনো চড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৪ পিএম
ফাইল ফটো
বেশ কয়েক মাস পর বাজারে চালের দামে সামান্য স্বস্তি এসেছে। মূলত ভারত থেকে আমদানি বাড়ার প্রভাবে সরু নাজিরশাইল ও মোটা জাতের কয়েক পদের চালের দাম কেজিতে ৪-৬ টাকা কমেছে। তবে জনপ্রিয় মিনিকেট চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে, সবজি ও মাছের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী হলেও এখনো স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নাজিরশাইল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৪-৮৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৯০-৯২ টাকা। মোটা পায়জাম ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬০ টাকায়, আগে যা ছিল ৬০-৬৫ টাকা। তবে মিনিকেট চাল এখনো ৭৮-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচার চাল ব্যবসায়ী সালমান হোসেন বলেন, ভারত থেকে প্রচুর চাল আসছে, তাই দাম কিছুটা কমছে। তবে দেশি মিনিকেট চাল আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি বাড়লে দাম আরও কমতে পারে। তালতলা বাজারের বিক্রেতা হোসেন আলী জানান, মোকামে প্রতি বস্তায় (২৫ কেজি) চালের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
সবজির বাজারে কেজিপ্রতি ৬০-১০০ টাকা দরে বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে। পটোল, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙা ৬০-৮০ টাকায়, আর করলা, বেগুন, বরবটি ও চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আলু ৩০ টাকা এবং পেঁপে ৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। পেঁয়াজের দামও সামান্য কমে ৬৫-৭০ টাকায় নেমে এসেছে, যদিও পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরও বেশি।
মাছের বাজারে দাম এখনো অনেক বেশি। ৭০০ গ্রামের একহালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকায়, আর এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দাম দুই থেকে তিন হাজার টাকা পিস। চাষের চিংড়ি ৭৫০-৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের রুই, কাতলা ৩৫০-৪২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৬০ টাকা এবং পাঙ্গাশ ২০০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে মুরগি ও ডিমের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০-৩২০ টাকা এবং প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়।



