নিত্যপণ্যের দামে আগুন: ডিম ১৪০, ব্রয়লার ১৯০, ইলিশ ৩ হাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৮ এএম
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর খুচরা বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি থাকায় ক্রেতাদের ভোগান্তি বেড়েছে। ডিম, মুরগি, মাছ, চালসহ প্রায় সব কিছুর দাম আগের মতোই চড়া। সবজি সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও দাম এখনও স্বস্তির পর্যায়ে আসেনি।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। প্যারাগন ও কাজী ফার্মের প্যাকেটজাত ডিম আরও বেশি, ডজনপ্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সোনালি মুরগি কেজি ৩১০–৩২০ টাকায় বিক্রি হলেও ব্রয়লারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০–১৯০ টাকায়। দেশি মুরগি ৬০০–৬৫০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৭৫০–৮০০ এবং খাসির মাংস ১,১০০–১,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরবরাহ না বাড়ায় ইলিশ এখনও আগুনঝরা দামে। ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ কেজি ২,৫০০–৩,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি ওজনের ইলিশ ২,৩০০–২,৫০০ টাকা, আর জাটকা ১,২০০–১,৫০০ টাকা কেজি। কাচকি মাছ কেজি ৬০০, চাষের রুই ও কাতলা ৩৫০–৫৫০, পাবদা ৫০০–৬০০, চিংড়ি ৫০০–৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙাশ, তেলাপিয়া ও সিলভার কার্পের দাম তুলনামূলক কম, কেজিপ্রতি ২২০–২৬০ টাকা।
সবজি সরবরাহ বেড়ে দাম কিছুটা কমলেও ক্রেতারা বলছেন এখনও অনেক সবজি ১০০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। তাল বেগুন কেজি ১৪০–১৬০, লম্বা বেগুন ৮০, শিম ১৮০–২৪০, শসা ৮০–১০০, করলা ৮০–১০০, কাঁচা মরিচ ১৫০–২০০ টাকা কেজি। শীতকালীন কপি উঠলেও দাম ৬০–৮০ টাকার নিচে নামেনি।
মিনিকেট চাল কেজি ৭৫–৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটাশ চাল ৫৮–৬০ এবং মোটা চাল ৫২–৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। চিনি কেজিপ্রতি ১০৫–১১০, মসুর ডাল ১২০–১৬০, ছোলা ১১৫ এবং ২ কেজির প্যাকেট আটা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা বাজারের ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, পাইকারিতে কিছুটা দাম কমলেও খুচরায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন, যেন বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো নজরদারি নেই।



