চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার আমদানির উদ্যোগ নিলেও খুচরা পর্যায়ে দাম কমছে না। রাজধানীর বাজারগুলোতে মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, আর ডায়মন্ড, হরিণ ও মোজাম্মেল কোম্পানির চাল ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল ৮৪ টাকা, আটাশ ৫৮–৬০ টাকা এবং মোটা চাল ৫২–৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, সরকার আমদানির ঘোষণা দেওয়ার পর মিলমালিকরা প্রথমে কিছুটা দাম কমালেও পরে আর কমায়নি। ফলে আমাদেরও বেশি দরে কিনতে হচ্ছে, তাই কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।

ডালের বাজারেও চড়া দাম অব্যাহত। মসুর ডাল কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, চিনি ১০৫–১১০ টাকা, ছোলা ১১৫ টাকা ও দুই কেজির প্যাকেট আটা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে ডিমের ডজন ১৩৫–১৪০ টাকা, আর প্যাকেটজাত ডিমের দাম আরও বেশি—১৯০ থেকে ২০০ টাকা।

পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৮০ টাকা, আদা ১৮০–২০০ টাকা, রসুন ১৩০–১৬০ টাকা ও আলু ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দামে সামান্য স্বস্তি

সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমলেও সবজি এখনো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। তাল বেগুন ১২০–১৪০ টাকা, সবুজ গোল বেগুন ১০০, লম্বা বেগুন ৮০, শিম ২২০–২৪০, ঢ্যাঁড়স ও ধুন্দুল ৭০–৮০, শসা ৮০–১০০ এবং বরবটি ৮০–১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ কিছুটা কমে ১৫০–২০০ টাকায় নেমেছে। লাউ ও চালকুমড়ার দাম পিসপ্রতি ৬০–৮০ টাকা।

একজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখনো বেশিরভাগ সবজিই ১০০ টাকার ওপরে। দেখার মতো কেউ নেই, সবাই নিজের মতো করে দাম নিচ্ছে।

মাছ ও মাংসে চড়া দর

ইলিশ মাছের মৌসুম শেষের দিকে হলেও দামে কোনো স্বস্তি নেই। এক কেজির বেশি ওজনের পদ্মার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২,৫০০–৩,০০০ টাকায়, আর এক কেজি ওজনের ইলিশ ২,৩০০–২,৫০০ টাকায়। অন্যান্য দেশীয় মাছ যেমন কাচকি ৫০০–৬০০, কাজলি, ট্যাংরা ও চিংড়ি ৮০০–১,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাষের রুই ও কাতলা কেজিপ্রতি ৩৫০–৫৫০ টাকা, পাবদা ৫০০–৬০০, চিংড়ি ৫০০–৮০০, পাঙাশ, তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প ২৪০–২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি ও মাংসের বাজারেও দাম চড়া। সোনালি মুরগি ৩১০–৩২০, ব্রয়লার ১৭০–১৮০, দেশি মুরগি ৬০০–৬৫০, গরুর মাংস ৭৫০–৮০০ এবং খাসির মাংস ১,১০০–১,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।