গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিও অর্থ ব্যয়ের সময়সীমা বাড়ল
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
তালিকাভুক্ত গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থের মধ্যে প্রায় ৭৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা এখনো অব্যবহৃত রয়েছে। এ অর্থ ব্যয়ের সময়সীমা আরও দুই বছর বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এটি কার্যকর হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে। বিষয়টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।
আইপিও অর্থের ব্যবহার
২০২২ সালের ৯ নভেম্বর আইপিওর মাধ্যমে ৪২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনো পুরো অর্থ ব্যয় হয়নি। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আইপিও তহবিলে অব্যবহৃত রয়েছে ৭৩ কোটি ৮১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২ টাকা।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এ অর্থ ব্যয়ের সময়সীমা ২০২৬ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। পাশাপাশি আইপিও-সংক্রান্ত ব্যয়ের অবশিষ্ট ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২ টাকা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে (এসএমই) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
আর্থিক অবস্থার চিত্র
চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি–জুন ২০২৫) ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৬ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৯৭ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান: ৯ টাকা ৬ পয়সা (আগের বছর ইপিএস ১৬ পয়সা)
৩০ জুন ২০২৫ শেষে শেয়ারপ্রতি নিট দায়: ৩৮ টাকা ৩৩ পয়সা
২০২৪ হিসাব বছরে ব্যাংকটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। এ সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়ায় ১২ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর লোকসান হয়েছিল ২১ টাকা ৭৯ পয়সা।
এর আগে, ২০২৩ হিসাব বছরে প্রথমে ৫% নগদ ও ৫% স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও পরবর্তীতে আর্থিক প্রতিবেদন সংশোধনের পর লোকসান দেখানোয় লভ্যাংশ বাতিল করা হয়।
২০২২ হিসাব বছরে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের ১০% লভ্যাংশ দিয়েছিল (৫% নগদ ও ৫% স্টক)। সে সময় ইপিএস ছিল ১ টাকা ২ পয়সা।
ক্রেডিট রেটিং
সর্বশেষ সার্ভিলেন্স রেটিং অনুযায়ী গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের অবস্থান:
দীর্ঘমেয়াদে: ডাবল এ মাইনাস (AA–)
স্বল্পমেয়াদে: এসটি-২ (ST-2)
এ প্রত্যয়ন দিয়েছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড, যা করা হয়েছে ২০২৩ সালের নিরীক্ষিত এবং ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে।



