দেশের সম্পদেই নিজস্ব আয় বাড়াতে হবে: বিবি গভর্নর
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:০১ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, জিডিপিতে বিদেশি সহায়তার অংশ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। তাই এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিজস্ব অর্থ আহরণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
বুধবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে কেয়ার বাংলাদেশের আয়োজিত “দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার: ড্রাইভিং ডেভেলপমেন্ট উইথ মার্কেটস, ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনোভেশন” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “১৯৭০ সালে দেশের জিডিপির ১২-১৪ শতাংশ বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল। বর্তমানে এ হার অনেক কমে এসেছে। তাই এখন সময় এসেছে নিজস্ব সম্পদ আহরণ বাড়ানোর, আর সেটি আমাদের পক্ষে পুরোপুরি সম্ভব।”
আহসান এইচ মনসুর জানান, রাজস্ব আহরণে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে আছে। “সরকার কিছু পদক্ষেপ নিলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ধর্মঘট এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ভারত যদি জিডিপির ১৮-২০ শতাংশ এবং নেপাল ২০ শতাংশের বেশি রাজস্ব আহরণ করতে পারে, তবে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে থাকবে?”—প্রশ্ন রাখেন তিনি।
গভর্নর বলেন, উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। “ব্যাংকিং খাত নাজুক অবস্থায় আছে। একে স্থিতিশীল করতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে। তবে আমরা ধাপে ধাপে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি।”
তিনি জানান, বিদেশি অর্থায়ন শুধু প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বেসরকারি খাত ও পুঁজিবাজারেও বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি নতুন উদ্ভাবন, আর্থিক শিক্ষা এবং ব্যাংকবহির্ভূত জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
“এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এখন গ্রামে গ্রামে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে গেছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস জনপ্রিয় হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় চার হাজার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ হয়েছে,” জানান গভর্নর।



