ছবি-সংগৃহীত
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও বেড়েছে। রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা, সঙ্গে আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণের ফলে রিজার্ভে নতুন গতি এসেছে।
আগস্ট ২০২৫-এর তাজা তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ gross হিসেবে দাঁড়িয়েছে ৩০.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের অর্থনৈতিক দৃঢ়তার এক বাস্তব প্রমাণ। আইএমএফের BPM6 হিসাব অনুযায়ী এই পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫.৮৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, “রিজার্ভ বাড়ছে—এটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিক থেকে অত্যন্ত ইতিবাচক সংকেত। এটি আমদানি পরিশোধ, ঋণ পরিশোধ এবং মুদ্রার বিনিময় হার রক্ষা করতে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে [৩০.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার]।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে—
•রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি : প্রবাসী বাংলাদেশিরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।
•রপ্তানি আয়ের প্রবাহ : তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাতের রপ্তানি আয় আগের তুলনায় বেড়েছে।
•আমদানি নিয়ন্ত্রণ : বিলাসী পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘রিজার্ভে ঊর্ধ্বগতি দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক সংকেত। এতে আমদানি ব্যয় মেটানো, ঋণ পরিশোধ এবং মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে সুবিধা হবে।’’
এদিকে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, রিজার্ভের এই বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। তবে তারা সতর্ক করেছেন, টেকসই অর্থনীতির জন্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও প্রবাসী আয়ের স্থায়ী প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বর্তমান রিজার্ভ পরিস্থিতি দেশে বিনিয়োগ ও আর্থিক আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক। তবে অর্থনীতি টেকসই রাখতে আরও বস্তুনিষ্ঠ নীতি ও বহুমুখী রপ্তানি প্ল্যাটফর্ম অপরিহার্য বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সাম্প্রতিক সময়ের এই রিজার্ভ বৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য আশার বার্তা। তবে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আর্থিক শৃঙ্খলা ও সঠিক নীতি সহায়তা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।



