ছবি-সংগৃহীত
শেয়ারবাজারে টানা ৭ কার্যদিবস দরপতন হলো। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১৩ আগস্ট) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
অবশ্য লেনদেনের এক পর্যায়ে ব্যাংকসহ বেশিরভাগ বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। এতে মূল্যসূচকও ঊর্ধ্বমুখী হয়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ বড় মূলধনের শেয়ার দাম বাড়ার ধারণা অব্যাহত থাকে। এর ফলে দাম কমার তালিকা বড় হলেও সূচকের বড় পতন হয়নি। এমনকি বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক বেড়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৪টির। আর ৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এর মাধ্যমে টানা ৭ কার্যদিবসের পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমলো ২২০ পয়েন্ট। এর আগে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪ হাজার ৬৭৭ পয়েন্ট থেকে দফায় দফায় বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে উঠে। ২৮ কার্যদিবসে এই উত্থান হয়। অর্থাৎ ২৮ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৮৫৯ পয়েন্ট।
এদিকে অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক বুধবার ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৫৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
প্রধান মূল্যসূচক পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭০৪ কোটি ৮৮ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৬৬ কোটি ৫১ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।



