Logo
Logo
×

অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন শুল্ক স্থগিতাদেশ বাড়িয়েছে

Icon

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩০ পিএম

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন শুল্ক স্থগিতাদেশ বাড়িয়েছে

ছবি-সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রচীন তাদের চলমান শুল্ক স্থগিতাদেশ বাড়িয়ে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত করেছে। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিলখবর রয়টার্স

সোমবার ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে শুল্ক স্থগিতাদেশ বাড়ানোর নির্দেশ দেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যে ১৪৫% শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা স্থগিত করবে এবং চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১২৫% শুল্ক স্থগিত রাখবে। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর বর্তমানে কার্যকর ৩০% শুল্ক বজায় রাখবে, আর চীন মার্কিন পণ্যে ধরে রাখবে ১০% শুল্ক।

এক যৌথ বিবৃতিতে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে ঘোষিত পণ্য আমদানিতে তিন অঙ্কের শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা আরো ৯০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে।

গত মাসে হওয়া আলোচনাকে উভয় পক্ষই ‘গঠনমূলক’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিল। সে সময় চীনের প্রধান আলোচক বলেছিলেন, স্থগিতাদেশ বজায় রাখতে উভয় দেশই প্রচেষ্টা চালাবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে চুক্তি।

সোমবার ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে শুল্ক স্থগিতাদেশ বাড়ানোর নির্দেশ দেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যে ১৪৫% শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা স্থগিত করবে এবং চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১২৫% শুল্ক স্থগিত রাখবে। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর বর্তমানে কার্যকর ৩০% শুল্ক বজায় রাখবে, আর চীন মার্কিন পণ্যে ধরে রাখবে ১০% শুল্ক।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই সময় বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি দূরীকরণ ও ‘অন্যায্য বাণিজ্য চর্চা’ নিয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে। ২০২৪ সালে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। যা তাদের যে কোনো বাণিজ্যিক অংশীদারের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি বাজারে চীনের প্রবেশাধিকার বাড়ানো, জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ইস্যু সমাধানসহ নানা বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক লাভজনক সহযোগিতাই সঠিক পথ; দমন ও প্রতিরোধের নীতি কোথাও নিয়ে যাবে না।‘ চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অযৌক্তিক’ বাণিজ্য সীমাবদ্ধতা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং উভয় পক্ষকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একযোগে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে।

উচ্চ শুল্ক ফেরত আসলে বাণিজ্য অস্থিরতা ও মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকি আরো বাড়ত। এপ্রিল মাসে ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যে ব্যাপক নতুন শুল্ক ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়যেখানে চীন ছিল সর্বোচ্চ শুল্কপ্রাপ্ত দেশ। পাল্টা পদক্ষেপে বেইজিংও শুল্ক আরোপ করে, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। সূত্র : অনলাইন

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন