Logo
Logo
×

অর্থনীতি

সরকার শোনে কিন্তু সাড়া দেয় না : হোসেন জিল্লুর

Icon

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম

সরকার শোনে কিন্তু সাড়া দেয় না : হোসেন জিল্লুর

ছবি-সংগৃহীত

সবকিছু জেনে বুঝেও সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না এমন ইঙ্গিত করে হোসেন জিল্লুর বলেন, এসব বিষয়ে আমাদের রেগে যাওয়ার সময় হয়েছে। এটি অযৌক্তিক রাগ নয়। আমি এটাকে বলবো পবিত্র রাগ। যে রাগের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন করতে হয়। এখন ওই রেগে যাওয়ার মুহূর্ত হয়েছে। কারণ এই সরকারের মধ্যে একটা পিকুলিয়ার সিনড্রোম (উদ্ভট লক্ষণ) দেখতে পাচ্ছি। আমি বলবো, একটি নতুন ধরনের কুম্ভকর্ণ সিনড্রোম, শোনে কিন্তু সাড়া দেয় না।

রোববার (২২ জুন) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বাজেট নিয়ে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এই সংলাপের আয়োজন করে।

বাজেটে বড় কোনো সিদ্ধান্তের জন্য রাজনৈতিক উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, অনেকে বলছেন বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদে চারজন অর্থনীতিবিদ রয়েছেন। তারপরও কেন গতানুগতিক বাজেট হলো। আমি মনে করি উপদেষ্টা পরিষদের সবাই অর্থনীতিবিদ হলেও ব্যতিক্রম কিছু হতো না। কারণ বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে যে সাহস দেখাতে হয়, সেটির জন্য রাজনৈতিক উদ্যোগ প্রয়োজন।

গায়েবি মামলার সংস্কৃতি দেশের পুরো ব্যবসার পরিমণ্ডলকে এক ধরনের গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। গায়েবি মামলার ফলে এক ধরনের স্থবিরতা তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, পরশু চট্টগ্রাম থেকে একজন জানালেন, তার নামে আরেকটা মামলা হয়েছে…, হত্যা মামলা। ১১০ জন আসামি, উনি ৯৫ নম্বর। এভাবে গায়েবি মামলা হওয়ায় কে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য, সেটি আলাদা করতে পারছি না। আমরা একটা ‘ব্ল্যাঙ্কেট সাসপিশন’র (সামগ্রিক সন্দেহ/একজনের অপরাধে সবাইকে সন্দেহ) পর্দা পুরো সমাজের ওপর ঢেলে রেখেছি। এ অবস্থায় সবাই হাত গুটিয়ে বসে থাকা ও ভুক্তভোগী হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

অনুষ্ঠানে বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ বলেন, আমরা অনেক অস্বস্তিকর সময় পার করছি। বর্তমানে আমরা দেখছি খুব সুন্দর সুন্দর মডেল তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে একটা মডেল হচ্ছে, কেউ লুট করলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই লুটের টাকা আবার ব্যাংকে পৌঁছে দিয়ে আসে। ব্যাংকগুলো লুট করেছে, আর আমরা তার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছি চড়া সুদহার দিয়ে। আমার থেকে আপনি (সরকার) বাড়তি টাকা নিয়ে এই চুরির টাকার ভর্তুকি দেবেন, এটা হয় না।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত একটা ব্যাংকের কর্মকর্তার জেল হয়নি, একজন গ্রাহকেরও (দোষী) জেল হয়নি। কারণ, যার কাছে টাকা, যে যত বড় চোর, সে তত বড় স্বচ্ছ...এটাই আমরা প্রতিফলন দেখছি।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে প্রত্যক্ষ আয় বেশি, পরোক্ষ আয় কম। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো, আমাদের পরোক্ষ কর যা মূলত সাধারণ জনগণের ওপর পরে সেটা বেশি। আমাদের রাজস্ব আয়ের দুই তৃতীয়াংশ হচ্ছে পরোক্ষ কর। এক তৃতীয়াংশ হচ্ছে প্রত্যক্ষ কর। কিন্তু বাজেটের দর্শন হচ্ছে পুনর্বণ্টন। যাদের আয় বেশি তাদের থেকে বেশি কর আদায় করা। যারা অবহেলিত বা পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের ওই করের টাকা ব্যয় করা। অর্থাৎ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা। পুনর্বণ্টনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে বাজেটে সেই বড় ধরনের পরিবর্তন দিতে পারেনি। অথচ জুলাই-আগস্টের পর আমাদের বড় আকাঙ্ক্ষা ছিল। এবারে ব্যতিক্রমী বাজেট হবে, আমরা দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন