Logo
Logo
×

অর্থনীতি

বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ

Icon

বেনাপোল প্রতিবেদক :

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম

বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ

ছবি-সংগৃহীত

অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে। টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে স্থলবন্দরের স্বাভাবিক কাজ কর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও গুদামে হাঁটুপানি জমে থাকায় পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এর ফলে কয়েকটি প্রবেশগেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে বৃষ্টির পানিতে বন্দরজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

বন্দর শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে কাজ করতে গিয়ে চুলকানি ও নানা অসুস্থতায় পড়তে হচ্ছে তাদের। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে গুদামগুলো নীচু হওয়ায় পানির স্বাভাবিক নিষ্কাশন সম্ভব হয় না। ফলে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে এবং চলাফেরায় ভোগান্তি বাড়ছে। এ নিয়ে পণ্যবোঝাই ট্রাকের চালকেরাও একই অভিযোগ করেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা একাধিকবার বন্দরের কাছে অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।

ব্যবসায়ী আল মামুন বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হলো বেনাপোল। সরকার এ বন্দর থেকে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে থাকে। এত বড় বাণিজ্যিক স্থাপনায় বছরের পর বছর এই দুর্দশা চললেও সরকার কোন পদক্ষেপ না নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। বৃষ্টির পানি পণ্যাগারে ঢুকে পড়লে লোকসানের শিকার হতে হয় ব্যবসায়ীদের।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন মিডিয়াকর্মীদের বলেন, বন্দরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। যেকোনো সময় পণ্যাগারে পানি ঢুকে পড়তে পারে। এ বন্দরে বছরে ২২ থেকে ২৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়। এসব পণ্য সংরক্ষণে রয়েছে ৩৩টি শেড ও তিনটি ওপেন ইয়ার্ড, একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড। কিন্তু অধিকাংশ অবকাঠামোই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া তৈরি হওয়ায় বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। অথচ এই বন্দর থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়।

বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর মামুন কবীর তরফদার সাংবাদিকদের বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন