বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নয়, জনগণ চায় ব্যর্থ, পক্ষপাতদুষ্ট ও স্বার্থান্বেষী উপদেষ্টাদের পদত্যাগ এবং উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন।

শুক্রবার (২৩ মে) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার নড়াইল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

প্রিন্স বলেন, সরকারের অভ্যন্তরে ও বাইরে কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও অনভিজ্ঞ উপদেষ্টাদের ভুল সিদ্ধান্ত ও অপ্রাসঙ্গিক আলোচনায় রাষ্ট্র আজ অচলাবস্থার দিকে যাচ্ছে। এসব উপদেষ্টা সরকারের নীতিনির্ধারণে জনস্বার্থ উপেক্ষা করে নিজেদের স্বার্থে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, "শুধু নির্বাচনের জন্য আসিনি" — উপদেষ্টাদের এমন বক্তব্য জনগণের আস্থাহীনতা সৃষ্টি করছে এবং এই বক্তব্যের আড়ালে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার অসৎ উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে। শেখ হাসিনা যেমন একদলীয় শাসন ও ভোটাধিকার হরণ করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলেন, তেমনিভাবে ভোট না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করাও কর্তৃত্ববাদেরই আরেক রূপ।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব হবে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার শুরু করে নির্বাচনের পথ তৈরি করা।" নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো অজুহাতই গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রিন্স আরও বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম করতে বিএনপি, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন শক্তির মধ্যে সমন্বয় ও জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। ডিসেম্বরের মধ্যেই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, "বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের আস্থার সংকট দূর করতে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনিক কাঠামোয় সীমিত আকারে দ্রুত সংস্কার জরুরি। তবেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি তৈরি হবে।"

উক্ত কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব আবু হাসনাত বদরুল কবির। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হালুয়াঘাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর আলম বিপ্লব, অধ্যাপক আমজাদ আলী, আলী আশরাফ, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, মিজানুর রহমান মিজান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, মোনায়েম হোসেন খান খোকন, অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেনসহ অনেকে।