চকরিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে জামায়াত কর্মী নিহত, আটক ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তার এক আত্মীয়। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনকে আটক করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাছিমাকাটা এলাকার সিকদার পাড়ায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম।
নিহত ব্যক্তি আরিফুল ইসলাম (৪৮), তিনি স্থানীয় আলতাফ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে এবং জামায়াতে ইসলামীর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির বায়তুল মাল সম্পাদক ছিলেন।
আহত হয়েছেন তার জেঠাতো ভাই খায়রুল আলম, যিনি একই এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন চৌধুরীর ছেলে।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে আটক হয়েছেন সুজন মিয়া (৩৭), যিনি ওই এলাকার রাজু মিয়ার ছেলে। এছাড়াও তার মা, বোনসহ আরও চারজনকে আটক করেছে পুলিশ, যদিও তাদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে আরিফুল ইসলাম ও সুজন মিয়ার পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো পক্ষই সিদ্ধান্ত মানেনি। ফলে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই বিরোধ আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং তর্ক-বিতর্ক গড়ায় হাতাহাতি ও ছুরিকাঘাতে। এতে আরিফুল ইসলাম এবং তার আত্মীয় খায়রুল আলম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরিফুলকে মৃত ঘোষণা করেন। খায়রুল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পরপরই চকরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। সেনাবাহিনীর একটি দলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় প্রধান অভিযুক্ত সুজন পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তার পরিবারের আরও চার সদস্যকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।



