পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ৭৬২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বায়ু ও শব্দ দূষণ, নিষিদ্ধ পলিথিন, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

এই সময়কালে ১,৬২৬টি মামলার মাধ্যমে ২৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযান চলাকালে ৪৩৪টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হয় এবং বহু ভাটার চিমনি ও কাঁচা ইট ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া ২০৫টি ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে, ১২৪টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস এবং একটি ভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানে একজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়া বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৬টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে সীসা ও ব্যাটারি গলানোর ৭টি ট্রাকভর্তি যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৮ এপ্রিল পর্যন্ত নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বিক্রয়ের বিরুদ্ধে ৩৬৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। অভিযানে ৬৮২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ৫৫ লাখ ৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জব্দ করা হয় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন, পাশাপাশি ১২টি পলিথিন কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও কারখানা সিলগালা করা হয়।

আজ ৮ এপ্রিল (সোমবার) দিনে বরগুনা, নোয়াখালী, মানিকগঞ্জ, রংপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় পরিচালিত ৫টি মোবাইল কোর্টে ১৪টি মামলায় ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় ১০টি ইটভাটার চিমনি ও কাঁচা ইট ধ্বংস, ১টির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং এক ব্যক্তিকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়ার দায়ে ৬টি মামলায় ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা, শান্তিনগর ও শরীয়তপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের দায়ে ২টি মামলায় ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২২ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। সুপারশপসহ দোকান ও জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়।

এছাড়া পুরানা পল্টনে নির্মাণ সামগ্রীর মাধ্যমে বায়ু দূষণের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ধানমন্ডিতে শব্দ দূষণজনিত ৫টি মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ৫টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে কঠোর অবস্থান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।